দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: রক্তে শর্করার মাত্রাকে ব্লাড সুগার বা ব্লাড গ্লুকোজ বলে। শরীরের কোষের জন্য প্রাথমিক শক্তির উৎস হল গ্লুকোজ। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
মনে রাখা প্রয়োজন, বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে এবং বাড়ে। আট থেকে আশি অর্থাৎ শিশু থেকে যুবক, বয়োজ্যেষ্ঠ সকলেরই বয়স অনুপাতে রক্তে শর্করার মাত্রায় পার্থক্য থাকে,এটি আমরা অনেকেই অবগত নই, আজকের এই প্রতিবেদন আপনাদের জানতে সাহায্য করবে। নিম্নে উল্লেখিত হল, বয়স অনুযায়ী ব্লাড সুগারের তালিকা,
আপনার রক্তে শর্করার সঠিক তথ্য জানতে চাইলে, তা সকালে খালি পেটে মাপা উচিত। রাতের খাবার এবং সকালের পরীক্ষার মধ্যে প্রায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা প্রয়োজন।
১) রক্তে শর্করার মাত্রা ০ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম। তাদের রক্তে শর্করা ১১০ থেকে ২০০ mg/dLপর্যন্ত থাকে।
২) ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের রক্তে শর্করার মাত্রা ১০০ থেকে ১৮০ mg/dL। এর বেশি হলে তা বিপজ্জনক বলে ধরা হয়।
৩) ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরদের রক্তে শর্করা ৯০ থেকে ১৫০ mg/dL পর্যন্ত থাকা উচিত।
৪) ১৯ থেকে ২৬ বছর বয়সি ব্যক্তিদের, খালি পেটে গ্লুকোজের মাত্রা ১০০ থেকে ১৮০ mg/dL হওয়া উচিত। দুপুরের খাবারের পরে ১৮০ mg/dL হওয়া উচিত।
৫) ২৭ থেকে ৩২ বছর বয়সে সাধারণ খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ১০০ mg/dL এবং দুপুরের খাবারের পরে ৯০ থেকে ১১০ mg/dL পর্যন্ত থাকে।
৬) ৩৩ থেকে ৪০ বছর বয়সে, খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ mg/dL থেকে ১৫০ mg/dL এবং দুপুরের খাবারের পরে ১৬০ mg/dL পর্যন্ত থাকা উচিত বলে মনে করা হয়। এর বেশি হলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
৭) ৫০ থেকে ৬০ বছর এবং তার বেশি বয়সিদের, ৯০ mg/dL থেকে ১৩০ mg/dL এবং দুপুরের খাবারের পরে ১৪০ mg/dL এর নীচে থাকা উচিত।
*প্রিডায়াবেটিস রোগঃ খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ৭০-১০০ mg/dL এর মধ্যে থাকা উচিত। কিন্তু এই মাত্রা ১০০-১২৬ mg/dL এ পৌঁছালে, তা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। এরপর, রক্তে শর্করা ১৩০ mg/dL এর উপরে থাকলে, তা খুব বিপজ্জনক বলে ধরা হয়।
যেকোনো পর্যায়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। প্রদত্ত তথ্য মেনে চলার আগে আলোচনা করুন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে।