দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এই মুহুর্তে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো কে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। অগস্ট মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সরকারের বিভিন্ন দফতর ও পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জীর উপস্থিতিতে পুজো কমিটিগুলিতে ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
সরকারি ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল নতুন আবেদন। অতীতে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা করেন জনৈক সৌরভ দত্ত। এবছরও ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। পূর্ববর্তী জনস্বার্থ মামলার আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মামলাকারী। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে তা অনুমোদনের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। চলতি সপ্তাহে এই মামলা শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শহরের দুর্গাপুজোগুলির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের বিভিন্ন নামী পুজোর উদ্বোধনও করেন তিনি। শহর ও রাজ্যের দুর্গাপুজোগুলির জন্য প্রথমে ২৫ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করে সরকার। কোভিডে সময় ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল পুজো কমিটিগুলি। অনুদান তখন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। গত বছর অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।এবার সেই সংখ্যা আর বৃদ্ধি করেন মমতা। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন পুজো কমিটিগুলির বিদ্যুতের বিলের এক চতুর্থাংশ মকুব করা হবে। দমকলের যাবতীয় ব্যবস্থাপনাও বিনামূল্যে করার কথা ঘোষণা করেন মমতা। একইসঙ্গে সরকারে বিভিন্ন দফতরের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা।
২০২২ সালেও সরকার ঘোষিত অনুদান নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। সেবার ৬ দফা শর্ত দিয়ে সরকারি অনুদানে অনুমতি দিয়েছিল আদালত। এবারের মামলায় কী সিদ্ধান্ত হয় তা এখন দেখার।