দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ টানা বৃষ্টির জেরে কার্সিয়াং মহকুমার অন্তর্গত পাগলা ঝোরায় ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কে জাতীয় সড়কে ধস নেমে বিপত্তি। রবিবার ধস নামে। ধস সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে ধসের জেরে কালিম্পং এবং সিকিমের লাইফলাইনে যান চলাচল বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। গতকাল নতুন করে ওই রাস্তায় ধস নামায় শিলিগুড়ির সঙ্গে কালিম্পংয়ের সড়ক যোগাযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দার্জিলিংয়ের রাস্তাতেও একাধিক জায়গায় ধসের জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে দার্জিলিং রেলস্টেশনের কাছে এবং লেবং কার্ট রোডে ধস নেমেছে। হিলকার্ট রোডেও পাগলাঝোরা এবং মহানদী এলাকায় রাস্তায় ফাটল ধরা পড়েছে। টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় এই রাস্তাও ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
টানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। পাশাপাশি পাহাড়জুড়ে ধসের ঘটনাও বাড়ছে। ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বেশ কয়েকদিন ধরেই বন্ধ। সেবক থেকে শুরু করে তিস্তাবাজার পর্যন্ত অন্তত ১০ জায়গায় রাস্তা ধসে গিয়েছে। কালিঝোরা, গেইলখোলা, বিরিকদাড়া, ২৯ মাইল, লোহাপুলে রাস্তার অনেকটা ধসে গিয়েছে। বিরিকদাড়ায় কয়েকদিন আগে রাস্তার অর্ধেক অংশ তিস্তায় ভেসে গিয়েছিল। সেখানে পূর্ত দপ্তর পাহাড় কেটে রাস্তা বের করার কাজ করছিল। এরই মধ্যে গতকাল বাকি অর্ধেক রাস্তাও ধসে গিয়েছে। ফলে পাহাড় কেটে পুরো রাস্তা তৈরি করতে অনেকটা সময় প্রয়োজন বলে পূর্ত দপ্তর জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কালিম্পংয়ের সঙ্গে লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ির পথে কিছু যানবাহন চলাচল করছে। পাশাপাশি কালিঝোরা থেকে এনএইচপিসির বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পেরিয়ে পনবু, রেলিখোলা হয়ে কালিম্পংয়ের মধ্যে যানবাহন চলাচল করছে। তবে, রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় এই রুটে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি চলাচলের অনুমতি রয়েছে। অন্যদিকে, কালিম্পং থেকে তিস্তাবাজার, পেশক রোড হয়ে দার্জিলিংয়ের রাস্তা সরকারিভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে, এদিন এই পথে যাত্রীবাহী কিছু যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করেছে।
মেল্লি থেকে রংপোর মাঝে নতুন করে ধস নামায় সিকিমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মনসং হয়ে পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে যাতায়াত করানো হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি মেল্লি, কালিম্পং, লাভা, গরুবাথান হয়ে চলাচল করছে। কিছু জায়গায় একমুখী যান চলাচল করানো হচ্ছে। সিকিমে যাতায়াতের জন্য নির্মীয়মাণ ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়কেও ধস নামে। ৯ মাইলে যেখানে ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে, সেখানেও ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পাহাড়ের দুর্যোগ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।