শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করে ইডির তরফে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত আটটার সময়ে জামিন দেওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। এই রায়ের বিরোধিতা করার সুযোগ পায়নি ইডি। নিম্ন আদালতের রায়ে দ্রুত স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। পাশাপাশি কেজরির জামিনের বিরোধিতা মামলার যেন দ্রুত শুনানি হয়, সেই আবেদনও জানায় ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শুরু হয় মামলার দ্রুত শুনানি।
প্রথমেই দিল্লি হাই কোর্টের দুই বিচারপতি জানিয়ে দেন, যেহেতু জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে আদালতে শুনানি চলছে তাই সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ থাকবে রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের রায়ের উপরে। অর্থাৎ আপাতত আপ সুপ্রিমোর জামিনের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। ফলে তাঁর জেলমুক্তি আরও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি (ED)। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরে সুপ্রিম নির্দেশে ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। পরে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন শুনতেই রাজি হয়নি। ২ জুন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন আপ সুপ্রিমো। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামিন পান কেজরিওয়াল। কিন্তু আপাতত জেলমুক্তি হচ্ছে না তাঁর। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।