Country

2 weeks ago

Indian Railway projects in Mizoram: মিজোরামের ভৈরবী ও হর্তকির মধ্যে নবনির্মিত রেললাইনে ট্রেন চলাচলে সিআরএস-এর অনুমোদন

Indian Railway projects in Mizoram
Indian Railway projects in Mizoram

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) সুমিত সিংঘল মিজোরামের ভৈরবী এবং হর্তকির মধ্যে ১৬.৭২৫ কিলোমিটার সদ্য-স্থাপিত বিজি লাইনে মালবাহী এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য অনুমোদন প্রদান করেছেন। গত মাসের শেষের দিকে ওই সেকশনের সতর্কতামূলক পরিদর্শন সম্পূর্ণ করেছিলেন সিআরএস।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এক প্ৰেস বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, নির্মীয়মান ৫১.৩৮ কিমি দীর্ঘ ভৈরবী-সাইরাং নতুন রেলওয়ে লাইন প্রকল্পের একটি অংশ এই সেকশন। সফল পরিদর্শন এবং গতি পরীক্ষণের পর বুধবার সিআরএস নতুন স্থাপিত রেললাইন দিয়ে সর্বাধিক ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ট্রেন চলাচলের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। নতুন স্থাপিত লাইনটি এই রুট দিয়ে আরও বেশি পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে সহায় করবে।

প্ৰেস বিবৃতিতে কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, ভৈরবী ও হর্তকির মধ্যে নতুন স্থাপিত বিজি লাইন সেকশনে ২০টি মেজর ব্রিজ ও ২৭টি মাইনোর ব্রিজ এবং তিনটি রোড ওভার ব্রিজ ও একটি রোড আন্ডার ব্রিজ রয়েছে। এই সেকশনে ১৩টি টানেল / কভার্ড ওয়ে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সেকশনটি ভূকম্পীয় অঞ্চল নম্বর ভি-এ পড়ে, যার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২১১২.৮২৩ মিলিমিটার। এই মুখ্য লাইনে অধিকতম ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে এবং লুপ লাইনে ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ট্রেন পরিচালনার জন্য সেকশনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সেকশনটিতে কার্ভড ট্র্যাকের মোট শতাংশ ২৭.০৩। ৪০ এবং ৪২ নম্বর ব্রিজে ব্যালাস্ট লেস ট্র্যাক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সমগ্র সেকশনটি লেভেল ক্রসিং গেটমুক্ত। সেকশনটিতে এমএসিএল সিগনালের সাথে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং প্রদান করা হয়েছে। স্টেশনের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ২৫ ওয়াট ভিএইচএফ সহ ওএফসি সিস্টেম থাকবে। হর্তকি রেলওয়ে স্টেশনে নতুন এফওবি, ওয়েটিং হল, দ্বিতীয় শ্রেণির ওয়েটিং রুম, কভার্ড প্ল্যাটফর্ম, পুরুষ ও মহিলার জন্য পৃথক শৌচালয় রয়েছে।

তিনি জানান, কঠিন ভূখণ্ডে নির্মীয়মাণ ভৈরবী-সাইরাং রেলওয়ে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একাধিক টানেল ও ব্রিজ। এই প্রকল্পে টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ১২,৮৫৩ মিটার। প্রকল্পটিতে মোট ৫৫টি মেজর ব্রিজ এবং ৮৯টি মাইনোর ব্রিজ রয়েছে। প্রকল্পটির সবচেয়ে উঁচু পিয়ার অর্থাৎ সাইরাং স্টেশনে প্রবেশের সময় ব্রিজ নম্বর ১৯৬-এর পিয়ারপি-৪ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই পিয়ারের উচ্চতা ১০৪ মিটার, যা কুতুবমিনারের উচ্চতা থেকে ৪২ মিটার বেশ। এই প্রকল্পের অধীনে রয়েছে চারটি স্টেশন যথাক্রমে হর্তকি, কাওনপুই, মুয়ালখং এবং সাইরাং।

৫১.৩৮ কিমি দীর্ঘ ভৈরবী-সাইরাং নতুন রেললাইন প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর মিজোরামের জনগণকে উন্নত সংযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি অঞ্চলটিতে ক্ষুদ্র মাপের শিল্প বিকাশে সাহায্য করবে এবং রাজ্যের পর্যটন শিল্পকেও উৎসাহিত করবে। প্রকল্পটি স্থানীয় জনগণের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পাহাড়ি রাজ্যটিতে যাত্রী ও বিভিন্ন উপকরণ তথা সামগ্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যয়ের হার যথেষ্ট হ্রাস করা নিশ্চিত করবে। মিজোরামের রাজধানী এবং অসমের নিকটবর্তী স্থানগুলির মধ্যে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস হবে। ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ দেশের দূরদূরান্ত অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধা লাভ করবেন এবং অত্যাবশ্যক সামগ্রীর বাধাহীন সরবরাহ লাভ করবেন বলে মনে করছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

You might also like!