রথ নির্মাণে কাজে যক্ত দলের এক সদস্য বালকৃষ্ণ মোহরানা বলেন, 'জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি রথ তৈরি করা হয়েছে। জগন্নাথের রথে ১৬টি চাকা, বলরামের রথে ১৪টি চাকা ও সুভদ্রার রথে ১২টি চাকা থাকে। নয়াগড়ের দাসপাল্লার জঙ্গল থেকে প্রতিবছর নতুন কাঠ নিয়ে আসা হয়।'
এবছর রথের সময় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI-এর সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে। দুষ্কৃতীদের উপর নজরদারি চালাতে ৭ জুলাই AI-এর সাহায্য নেবে রাজ্য সরকার। AI-এনাবেল্ড সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি পুরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও এলাকায় বসানো থাকবে। বিশাল এই উৎসবের সময় পকেটমারি সহ একাধিক ধরনের দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বেড়ে যায়। পুরীর রথযাত্রা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। AI এনাবেল্ড সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের মুখ ও তাদের গতিবিধি চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে পলিশের। প্রশসানের তরফে এর জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করা হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উৎসবের সময় প্রবল গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য ১০০ অস্থায়ী বেডের ব্যবস্থা থাকবে পুরীতে। এদিকে আবার পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রশান মন্দিরের সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ড চালুর পরিকল্পনা করেছে। আসল সেবায়িত ও সেবায়িতের বেশধারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেই এই ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একাধিক সময় অভিযোগ উঠেছে, অনেকেই সেবায়িতের বেশ ধরে মন্দিরে প্রবেশ করেন। অথচ তাঁরা আদতে মন্দিরের সেবায়িতই নন। জালিয়াতি ঠেকাতেই তাই স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ডের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। পরের বছর রথযাত্রার আগে পুরীর সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ড চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।