Business

1 year ago

Taka-Rupee debit card : ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে টাকা-রুপি ডেবিট কার্ড চালু হচ্ছে

Taka-Rupee debit cards
Taka-Rupee debit cards

 

ঢাকা: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে টাকা-রুপি ডেবিট কার্ড চালু হচ্ছে। ভারত ভ্রমণের সময় এই কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার পরিমাণ খরচ করা যাবে।

বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন এতে দেশের অর্থনীতি আরও সচল হবে। ডলারের উপরে চাপ কমবে। এই বিষয় হিন্দুস্থান সমাচারকে আমি আগেও বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব টাকা-রুপি ডেবিট কার্ড চালু করা দরকার।

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, হিন্দুস্থান সমাচারের সঙ্গে আমি আগেও বলেছি, বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা, ভ্রমণ, ব্যবসা বাণিজ্য সহ নানান কাজে ভারতে যাতায়াত করেন। ভারতের সঙ্গে টাকা-রুপি ডেবিট কার্ড চালু হলে সকলেই উপকৃত হবেন। হুন্ডি ব্যবসা বন্ধে ভালো ভূমিকা রাখবে। সকারের এ পদক্ষেপকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বলতে হবে।

ডলার সাশ্রয়ে দেশে টাকা-রুপির ডেবিট কার্ড চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কার্ড দিয়ে দেশের ভেতরে টাকা দিয়ে কেনাকাটাসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ করা যাবে এবং পাশাপাশি ভারত ভ্রমণের সময় রুপিতে খরচ করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। আগামী সেপ্টম্বর মাস থেকেই এই সুবিধা চালু করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। রবিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় এ তথ্য জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “আমরা টাকার একটি পে-কার্ড চালু করছি। এটাকে ভারতের রুপির সঙ্গে সংযুক্ত করে দেব। এ কার্ড থাকলে গ্রাহকরা বাংলাদেশে ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনও কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার যখন ভারতে যাবেন তখনও এ কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলারের পরিমাণ রুপি খরচ করতে পারবেন। ফলে দুইবার মানি চেঞ্জে যে লস হচ্ছে, তা আর হবে না। অর্থাৎ ভ্রমণে যেতে হলে প্রথমে টাকা থেকে ডলারে কনভার্ট করতে হয়, পরে ভারতে গিয়ে ডলার রুপিতে কনভার্ট করতে হয়। টাকার পে-কার্ড নিলে দুইবার মানি চেঞ্জ করতে হবে না।” এতে করে কমপক্ষে ৬% এর মতো খরচ কমবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তিনি আরও বলেন, “ভারতে প্রতি বছর অনেক বাংলাদেশি পর্যটক ঘুরতে যান। তাদের জন্য এ কার্ড অনেক সুবিধাজনক হবে।”

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লেনদেনের একটি অংশ নিজ নিজ মুদ্রায় নিষ্পত্তি করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এ চুক্তির লক্ষ্য ডলারের রিজার্ভের ওপর চাপ কমানো। ভারত থেকে বাংলাদেশের নফতানি আয় আসে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার, এই পরিমাণ বাণিজ্য লেনদেন রুপিতে নিষ্পত্তি করা হবে।’

You might also like!