দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রান্নাঘরের বাজেট নিয়ে চিন্তায় থাকা মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর। এবার কমতে পারে রান্নার তেল অর্থাৎ ভোজ্য তেলের দাম। অ্যাসোসিয়েশন অব সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সরকার তেল কোম্পানিগুলোকে জিনিসের দাম কমাতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক হার অনুযায়ী তেলের দাম কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। সরকার মনে করছে, দেশীয় বাজারে যে দামে তেল বিক্রি হচ্ছে তার থেকে তেলের দাম কম হওয়া উচিত। তবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তেলের দাম কমানো সম্ভব নয়।
তেল কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, মার্চ পর্যন্ত খুচরো বাজারে দাম কমানো কার্যত অসম্ভব। এরপর শুরু হবে সরষের ফলন। সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অজয় ঝুনঝুনওয়ালা জানিয়েছেন, 'ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার অয়েল ও পাম তেলের MRP -তে বদল আনা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে দাম কমানোর তেমন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে ভোজ্য তেলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।'
আদানি উইলমারের CEO অংশু মল্লিক এ প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'রান্নার তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দামে বড় কোনও বৃদ্ধি বা হ্রাস হয়নি। ট্রেন্ড অনুয়ায়ী সামঞ্জস্য রেখে আমাদের এমআরপি প্রতি মাসে সংশোধিত হয়। আমরা দামের ক্ষেত্রে খুব বেশি পরবর্তনের বিষয়ে আশা রাখছি না। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের দামের উপর নজর রাখছি এবং তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেব।'
সানউইন গ্রুপের CEO সন্দীপ বাজোরিয়া বলেন, 'ডিসেম্বরে দাম প্রায় 10 শতাংশ কমেছে। জানুয়ারিতে আবার দাম বেড়েছে 8 শতাংশ।' এমন পরিস্থিতিতে তেলের দামে খুব বেশি বদল আনা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ কোম্পানি মাত্র 3- 4 শতাংশ দাম কমাতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, ভোজ্য তেলের দাম বর্তমানে রয়েছে 140- 150 টাকা প্রতি লিটারের আশেপাশে। এই দাম আগের বছরের তুলনায় অনেকটা কমেছে। ভোজ্য তেলের দাম 2022- 23 সালে প্রতি লিটারে ছিল 170- 180 টাকা। তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর অবশেষে এই দাম কমাতে সক্ষম হয়েছে কেন্দ্র। যা আমজনতাকে স্বস্তি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোজ্য তেলের জন্য দেশ কিন্তু এখনও আমদানির উপরেই নির্ভরশীল। সেই কারণেই তেলের দামের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে নজর রাখতে হয় সরকারকে। বিশ্বের যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ভোজ্য তেল আমদানি করে সেই তালিকায় নাম রয়েছে ভারতেরও। বিপুল চাহিদার প্রায় 60 শতাংশ তেলের জোগান আসে আমদানি থেকেই।