পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাক সীমান্তবর্তী গ্রাম কোট বাটিয়ার এক বাসিন্দা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ফোন করে জানায়, মুখ ঢাকা দুই সন্দেহজনক ব্যক্তিকে সে তাঁর ফার্ম হাউসের পাশ থেকে যেতে দেখে। দু’জনের কাছেই ছিল প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। গ্রামবাসীরাও পুলিশকে জানান, ওই দুই জঙ্গি গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে বাড়ির কর্তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে রাতের খাবার তৈরি করতে বলে। রাতে সেই বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার পর তারা পাঠানকোটের দিকে রওনা দেয়। ঘটনার কথা জানার পর পাঠানকোটের এসএসপি সুহেল কাসিম মির শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। গুরুদাসপুর ও পাঠানকোট দুই জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন ওই দুই জঙ্গির খোঁজ পেতে জোর কদমে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্ট্যান্ডের পাশাপাশি রাস্তাতেও শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে গুরুদাসপুর-পাঠানকোট-জম্মু ন্যাশনাল হাইওয়েতে। এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে দেশের সেনাবাহিনী ও বিএসএফকে। পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিকেও সতর্ক করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছে, কোথাও সন্দেহজনক কিছু দেখলে যেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। জঙ্গিরা পাঞ্জাব হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরেও প্রবেশ করতে পারে এই আশঙ্কায় উপত্যকার পুলিশ বাহিনীকেও সতর্ক করা হয়েছে।