কোচবিহার, ২৯ জানুয়ারি :ভোটের মুখে সিএএ নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন তিনি। বললেন, “ভোট আসতেই ফের ক্যা ক্যা করছে।”
তিনি দাবি করলেন, ভোটের আগে রাজনীতি করতেই সিএএ ইস্যু উসকে দিচ্ছে বিজেপি। তাঁর সাফ বার্তা, “সিএএ নিয়ে লাফালাফি করলে হবে না। সবাই নাগরিক। নাহলে কেউ ভোট দিতে পারত না।”
আলাদা করে পরিচয়পত্র দিচ্ছে বিএসএফ। কোচবিহারে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বিএসএফের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই পরিচয়পত্র নিলে এনআরসির আওতায় পড়ে যাবেন বলেই সতর্ক করলেন তিনি।
আর মাসদুই পরই সম্ভবত লোকসভা নির্বাচন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। সেখানে সেই পুরনো বিষয়কে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছে বিজেপি। সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাংলায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে বলে রবিবার ফের দাবি করেছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। পালটা খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে দ্বিতীয় মোদী সরকার গঠনের পরই ২০১৯ সালে এই নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন পাশ করানো হয়েছিল। কিন্তু মাঝে বেশ কয়েকটি বছর কেটে গেলেও, সেই আইন এখনও কার্যকর হয়নি। কেন আইন এখনও কার্যকর হচ্ছে না তা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা যেমন হয়েছে, তেমনই আমজনতার মধ্যেও কৌতূহল তৈরি হয়েছে বিস্তর। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, শান্তনুবাবুর এই ‘গ্যারান্টি’ও সারবত্তাহীন। আসলে এটি ভোট আদায়ের কৌশল ছাড়া আর কিছু নয় বলেই মনে করছেন মতুয়াদের একাংশও। কারণ, এই প্রতিশ্রুতি প্রথমবার নয়। আগেও বহুবার এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পরে যদিও দেখা গিয়েছে প্রতিশ্রুতি বাস্তব রূপ পায়নি।