দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে-মেয়ে ভালো স্কুলে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে অনেক বড় হবে এমন স্বপ্ন থাকে প্রত্যেক বাবা-মায়ের তবে ভালো স্কুলে ভর্তি করাতে গেলে শুধু তাদের প্রস্তুতিই জরুরি নয়, অভিভাবকদেরও প্রস্তুত হতে হয়। শিশু কোন জায়গারর পরিবেশ থেকে আসছে, বাড়ির লোকেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন, আর্থিক সঙ্গতি কেমন জানতে চায় অনেক বিখ্যাত স্কুল। বাচ্চাদের বড় করার ক্ষেত্রে বাবা-মা, সুস্থ পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে আর পাশাপাশি খুদে পড়ুয়াদের কোন বিষয়ে উৎসাহ তাও জানার চেষ্টা করে! তবে শুধু খুদেরই ইন্টারভিউ নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বাবা-মাকেও। তা নিয়ে বহুজনের ভয় থাকে।
স্কুল ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি, সে সময় কেমনভাবে করা উচিত আর কোনটা উচিত নয় ইত্যাদি এরকম আগাম ধারণা থাকলে সুবিধা হয় আর সেগুলো হলো:-
১) মানসিক প্রস্তুতি - ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে মনের মধ্যে প্রস্তুতি রাখা খুবই জরুরি। কেমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারে সে সম্পর্কে আগাম ধারণা থাকলে সুবিধা হয়। যে স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করাতে যাচ্ছেন সেই স্কুলের নিয়মাবলী সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। তাছাড়া, কেন সন্তানকে নির্দিষ্ট স্কুলটিতেই ভর্তি করাতে চাইছেন, বাড়ি থেকে স্কুল কতদূর, কিভাবে সন্তানকে নিয়ে যাওয়া-আসা করবেন ইত্যাদি এধরনের প্রশ্ন সাধারণত জিজ্ঞাসা করা হয়।
২) সন্তানদের মনের কথা- বাচ্চাদের শখ-গুণ,ইচ্ছা,দুর্বলতা ইত্যাদির কথা অভিভাবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় জানতে চায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সন্তানের সঙ্গে দিনরাত কাটালেও,হঠাৎ তার শখ বা ভালোদিকের কথা কেউ জানতে চাইলে বহুজন বুঝতে পারেন না যে কী বলবেন। তাই সন্তানদের খুঁটিনাটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে আর এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরও মনে মনে গুছিয়ে রাখা প্রয়োজন।
৩) আত্মবিশ্বাস - ইন্টারভিউতে আত্মবিশ্বাস রাখা খূব জরুরি তবে বেশি কথা নয়,যা জিজ্ঞাসা করা হবে তার উত্তর দেওয়াটা বাঞ্ছনীয়। যা বলবেন তাতে যেন পুরোমাত্রায় আত্মবিশ্বাসটা থাকে, পাশাপাশি ঠিক ভঙ্গিতে বসা,চোখে চোখ রেখে নম্র-ভদ্রভাবে কথা বলার মাঝে চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে তবে গলার আওয়াজ একদমই কম থাকা উচিত নয় যাতে সমস্ত কথা অপর পক্ষ স্পষ্টভাবে শুনতে পান আর উচ্চস্বরে কথা বলাও উচিত নয়।
৪) জামা-কাপড় - সন্তানদেরকে নিয়েই বাবা-মাকে স্কুলের ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে বসতে হয় তাই সন্তান ও বাবা-মায়ের সঠিক বেশভূষা,শরীরী ভাষা গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে ভর্তি সময়ে ঝলমলে পোশাক পরিয়ে সন্তানকে নিয়ে যাওয়া একদম অনুচিত, তার বদলে শিশুর জন্য পরিচ্ছন্ন জামা পরানো ভাল। অনলাইন ইন্টারভিউ হোক বা সামনাসামনি কথা বলার সময়, যদি পোশাকের অস্বস্তির কারণে তার মন অন্য দিকে থাকে, তবে তা কাজের কথা নয় আর এটা বাবা-মায়েদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। ঘরোয়া পোশাক যেমন নির্বাচন করা উচিত নয়,তেমনি বেশী ঝকমকে কোনো পোশাক পরাটাও উচিত নয়। হালকা রঙের চুড়িদার, শাড়ি পরতে পারেন আর সাজটাও যেন ছিমছাম হয়। পুরুষেরাও পরিচ্ছন্ন যেকোনো শার্ট-প্যান্টের মধ্যে গুঁজে পরে যেতে পারেন আর দাড়ি-গোঁফ সঠিক ভাবে ছাঁটা বা কামানো যেন থাকে।
৫) ফাইল- সন্তানদের ভর্তির জন্য দরকারি নথি,ফর্ম, ছবি ইত্যাদি সবকিছু এক ফাইলে পরপর গুছিয়ে নিয়ে যান। যখন কাগজপত্র চাওয়া হবে তখন যেন তাড়াতাড়ি বের করে দেওয়া সম্ভব হয়। কাগজ কিংবা নথি যেন কোনভাবে চাপে মুড়ে না যায় সেটাও খেয়াল রাখা দরকার কারণ ছোটোখাটো বিষয়গুলি ভালো ভাবমূর্তি তৈরি করতে সাহায্য করে!