Life Style News

4 months ago

Curly Hair:চুল রুক্ষ হয়ে ডগা ফেটে যাচ্ছে? রইল একগুচ্ছ সমাধান

Curly Hair
Curly Hair

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কোঁকড়ানো চুল দেখতে যতটা সুন্দর, তার যত্ন নেওয়া ততটাই কঠিন। যাঁদের কোকড়ানো চুল, তাঁরা বিষয়টা আরও ভাল বুঝবেন। বাড়ি থেকে যতই শ্যাম্পু, কন্ডিশনিং করে বেরোন না কেন, হাওয়া লাগলেই চুল একেবারে কাকের বাসার মতো হয়ে যায়। রুক্ষ, উস্কোখুস্কো চুলে জটও পড়ে যায় তাড়াতাড়ি। আর চুল আঁচড়ানোর ঝক্কি তো বলে বোঝানোর নয়! মাথা আঁচড়াতে গেলে চুল পড়বে অবধারিত ভাবেই। বাইরের ধুলোবালি, ময়লা জমে চুলের জেল্লা হারিয়ে যায় অল্প দিনেই। আবার যদি ঘন ঘন শ্যাম্পু করেন, তা হলেও বিপত্তি। কোঁকড়ানো চুলে বেশি রাসায়নিক দেওয়া শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক নয়। বাজারচলতি যে কোনও তেল মাখতেও রাজি নন। তা হলে কী করবেন, জেনে নিন।

কেন ফেটে যায় চুলের ডগা?

এক কথায় উত্তর, আর্দ্রতার অভাব। চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে বিবর্ণ হয়ে যায়, ডগার দিক থেকে চিরে যায়। নানা কারণে চুল আর্দ্রতাবিহীন, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কী কী কারণে চুল শুকনো হয়ে ফেটে যেতে পারে।

ঘনঘন শ্যাম্পু করা

কড়া শ্যাম্পু দিয়ে বারবার চুল ধুলে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। শ্যাম্পু যদি চুলের ধরনের সঙ্গে মানানসই না হয়, তা হলেও তা চুল রুক্ষ করে দিতে পারে। চুল ক্রমাগত রুক্ষ হতে হতে একসময় চুলের ডগা ফেটে যাওয়া খুব স্বাভাবিক!

অতিরিক্ত ব্লো ড্রাই

চুল সেট করে সুন্দর রাখতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু নিয়মিত ব্লো ড্রাই করলেও চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। ড্রায়ারের গরম হাওয়া চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা শুষে নিয়ে চুল নিষ্প্রাণ আর রুক্ষ করে তোলে।

হাইলাইট আর হেয়ার কালার

চুলে রং করা মানেই একগাদা রাসায়নিক চুলে লাগানো। ঘন ঘন চুলে রং করলে বা হাইলাইট করানোর অর্থ বারবার কেমিক্যাল লাগানো। বিশেষ করে কম দামি রং ব্যবহার করলে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ডগা ফাটা চুল থেকে মুক্তি পান ঘরোয়া উপায়ে

নারকেল তেল লাগান

যে কোনও ধরনের চুলের সমস্যাতেই নারকেল তেল খুব কাজের। বাটিতে পরিমাণমতো নারকেল তেল গরম করে চুলে ভালোভাবে মাসাজ করে লাগান। চুলের ডগার দিকটায় বেশি মনোযোগ দেবেন। ছোট তোয়ালে বা শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। নারকেল তেল চুল নরম, আর্দ্র রেখে ডগা ফাটা প্রতিরোধ করে।

প্রচুর জল খান

আপনার শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র থাকলে চুলও আর্দ্র থাকবে৷ আপনার চুলের গঠনের এক-চতুর্থাংশই জল৷ পর্যাপ্ত জল না খেলে স্বাভাবিকভাবেই তাই চুল রুক্ষ হতে শুরু করে। চুলের ডগা ফাটা আটকাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব দরকার। চুল আর্দ্র ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে তাই দিনে অন্তত আট গেলাস জল খান।

অতিরিক্ত স্টাইলিং টুলের ব্যবহার

নিয়মিত গরম হেয়ার ড্রায়ার, আয়রন, কার্লার ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয়ে যায়৷ চুল দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং তার প্রথম চিহ্ন ডগা ফেটে যাওয়া৷ যতটা সম্ভব এই সব স্টাইলিং টুল এড়িয়ে চলুন৷

কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট

চুলের রং বারবার বদলালে বা কেমিক্যাল দিয়ে চুল সেট করালেও চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব।


You might also like!