West Bengal

3 months ago

Water Rising River Dooars: আরও দুদিন ভারী বৃষ্টি, দুর্ভোগের অশনি সংকেত ডুয়ার্সে!

Water Rising River Dooars (Symbolic Picture)
Water Rising River Dooars (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সিকিমের পর এবার ডুয়ার্স। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে কোনোভাবেই রেহাই মিলছে না উত্তরবঙ্গের। রায়ডাক, কালজানি, তোর্সা নদীর জল বাড়ছে ভুটানে বৃষ্টির জেরে। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছোট নদীগুলির জল। জলের তোরে কার্যত ভাঙনও শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার শহর থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফালাকাটা। বৃষ্টির জেরে বুড়ি তোর্সা ও সঞ্জয় নদীর জলস্ফীতিতে ৩১ ডি জাতীয় সড়কের দু’টি জায়গায় ডাইভারশন ভেসে যাওয়ায় জেলা শহর আলিপুরদুয়ার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফালাকাটা।

চর তোর্সার কাছে বুড়ি তোর্সা নদীর জল ডাইভারশনের উপর দিয়ে বইছে। আর পলাশবাড়ি ঢোকার মুখে সঞ্জয় নদীর জলের তোড়ে ডাইভারশন ভেসে যাওয়ার দরুণ বিপত্তি তৈরি হয়েছে। চরম বিভ্রাটে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। সড়ক পথে সোনাপুর হয়ে ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ারের দূরত্ব ৩৮ কিলোমিটার। কিন্তু জলস্ফীতির কারণে ওই পথ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায়, এখন ফালাকাটা থেকে বিকল্প পথ ধরে কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি হয়ে আলিপুরদুয়ার যেতে হচ্ছে।

স্বাভাবিক ভাবেই জ্বালানি তেলের দাম বেশি থাকায় ১৮ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে গিয়ে লোকসানের ভয়ে প্রায় বন্ধ গণ-পরিবহন। সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রবিবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের ডাকা জরুরি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ফালাকাটার বিডিও অনিক রায়কেও পুন্ডিবাড়ি হয়ে আলিপুরদুয়ার যেতে হয়। জলপাইগুড়িতেও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বরং রবিবার জলের তোড়ে বাশের সাঁকো ভেসে যাওয়ায় ফালাকাটা ধনীরামপুর এবং ও ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়ার যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।

ফালাকাটা ব্লকের ধনীরামপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েত ও ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়ারঝোড়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই বাঁশের সাঁকো। বানারহাটের সাঁকোয়াঝোড়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। মালবাজারের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের টটগাঁও গ্রামে ফের তিস্তার জল ঢুকেছে। চাষের খেতে জল ঢুকে পলি পড়েছে। জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকে সাহেববাড়ি এলাকায় প্রায় ৭০টি বাড়ি জলমগ্ন।

জলপাইগুড়ি ও দোহমনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দপ্তর। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাতেই শঙ্কিত আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। নদী সংলগ্ন এলাকাগুলির মানুষদের সতর্ক করার জন্য মাইকে প্রচার করা শুরু হয়েছে।’

আলিপুরদুয়ারের শিশারগোড়ের বাসিন্দা প্রদীপ রায় বলেন, ‘শুখা মরশুম যেমন-তেমন। কিন্তু বর্ষা নামলেই আমাদের ঘুম ছুটে যায়। মাত্র ৪৫ কিলোমিটার সড়ক তৈরি করতে কেটে গিয়েছে সাত বছর। মহাসড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় সরকারের চরম উদাসীনতার শিকার আমরা।’ যদিও ওই বেহাল মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ডাইরেক্টর সঞ্জীব শর্মার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি।

You might also like!