রিষড়া, ২৬ জুলাই : হুগলির রিষড়া রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর রেললাইনের কাছে ভাঙা পাঁচিলের ওখান দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপার করে রিষড়া স্টেশনে যাতায়াত করে চলেছেন। এর আগে রেলের তরফে এই ভাঙা পাঁচিল মেরামত করার চেষ্টা হলেও পরবর্তীকালে তা আবার ভেঙে দেওয়া হয়। এই ভাঙা পাঁচিল ডিঙিয়েই প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার করে রিষড়া স্টেশনে যাতায়াত করেন।
প্রতিদিন স্কুলের সময় যখন লোকাল ট্রেন স্টেশনে আসে, তখন টোটোচালকরা এই ভাঙা পাঁচিল সংলগ্ন আরবিসি রোডে এমনভাবে টোটো দাঁড় করিয়ে রাখেন যে সাধারণ মানুষের চলাফেরাই সমস্যা হয়ে যায়। একদিকে যেমন রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় রাস্তায় যানজট কমার জন্য। যেহেতু পূর্ব রেলের হাওড়া-বর্ধমান (মেইন) শাখায় ঘনঘন ট্রেন চলাচল করে, তাই রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলের পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের সবসময়ই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায় বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। যানজট-স্থল রিষড়া থানার খুব কাছে হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করে না বলে অভিযোগ। এছাড়া রেল পুলিশের সামনেও প্রতিদিনই স্কুল পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা রেললাইনে দাঁড়িয়ে যানজট কমার অপেক্ষা করতে থাকলেও তাঁরা যেন বিষয়টি দেখেও দেখেন না।
স্থানীয় রিকশাস্ট্যান্ডের রিকশাচালকরা জানান, যেসব টোটোচালকরা যানজট সৃষ্টি করে তাঁরা আদতে বহিরাগত। আর স্কুলের সময় তাঁরা প্রায় একপ্রকার জোরজবরদস্তি করেই রাস্তায় তাঁদের টোটো দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠান–নামান। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও পুলিশ বহিরাগত টোটো চালকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ স্থানীয় রিকশাচালকদের। তাঁদের এও অভিযোগ, বহিরাগত অনেক টোটোচালক প্রায় জোর করে রিকশাস্ট্যান্ডেই তাঁদের টোটো রাখেন। টোটো সরিয়ে দিতে বললে টোটোচালকরা মারামারি করতেও উদ্যত হন বলে অভিযোগ। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, স্কুলের সময় এখানে যানজট, কোলাহল, হট্টগোল ও এমনকি কুবাক্যবিনিময় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই বলেই অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, হয়তো বড় কোনও দুর্ঘটনার অপেক্ষা করছে প্রশাসন। তারপর যদি তাঁদের টনক নড়ে!