বীরভূম, ২২ জানুয়ারি : বীরভূমের সিউড়িতে নাবালিকা ক্রেতাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পথ অবরোধ করে অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি, অভিযুক্তের দোকানের সামনের থাকা ফেস্টুন ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে গতকাল রাতেই পুলিশ একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।
সিউড়ির হাটজন বাজারের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। এলাকাতেই মুদিখানা দোকান অভিযুক্ত প্রদীপ কীর্তনিয়ার। মঙ্গলবার রাতে প্রদীপের দোকানে গিয়েছিল বছর এগারোর ওই নাবালিকা। সেই সময় দোকানে আরও অনেকে ছিলেন। প্রদীপের দোকানের উলটোদিকেই একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়ির মহিলার দাবি, তিনি দেখেন সব ক্রেতাদের জিনিস দিলেও নাবালিকাকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে প্রদীপ। এরপর দোকান ফাঁকা হতেই তাকে নিয়ে ভিতরে চলে যায়। দীর্ঘক্ষণ পরও ফেরেনি সে। এতে সন্দেহ হয় মহিলার। ফোনে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান।
সবাই মিলে গিয়ে প্রদীপের বাড়িতে গেলেও নাবালিকাকে দেখতে পাননি। ততক্ষণে পিছনের দরজা দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়। যদিও শেষে অভিযুক্ত চাপের মুখে বিষয়টা স্বীকার করে বলে দাবি প্রতিবেশীদের। এদিকে নাবালিকা বাড়ি গিয়ে গোটা বিষয়টা জানায়। রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ নাবালিকাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যায় হাসপাতালে। বুধবার সকাল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে হাটজন বাজার এলাকা। অভিযুক্তের বন্ধ দোকানেই ভাঙচুরের চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। জ্বালানো হয় টায়ার। রাস্তা অবরোধ করেন মহিলারা।