Video

1 year ago

Urologist Dr Nilanjan Mitra : দেখেনিন কিডনি ভালো রাখার কিছু দরকারি টিপস

 

মূত্রে জ্বালা ভাব? ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন

ডাঃ নীলাঞ্জন মিত্র

এ. এম.আর.আই হসপিটাল,

মুকুন্দপুর, ঢাকুরিয়া

Mob : 9830426221

 E-mail: drnilanjanmitraurologist.com

www.drnilanjanmitraurologist.com

 

প্রথমেই আমরা জানবো যে ইউরোলজি ব্যাপারটা কী?

ইউরোলজি বলতে কিডনি, ইউরেটার, ব্লাডার, প্রস্টেট ও ইউরেথ্রারের কোনও সমস্যা যদি ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় তখন সেটা নেফ্রোলজির অধীনে পড়ে। অন্যদিকে এই অসুখগুলি নিরাময়ের জন্য সার্জারি করতে হলে তখন সেটা ইউরোলজির আওতায় পড়বে। এখন এই ইউরোলজিস্টের পরামর্শ কোন সময়ে নেওয়া জরুরি? যখন দেখা যায়-

·         প্রস্রাব বাধাপ্রাপ্ত হলে বা বারবার প্রস্রাব করতে হলে বা প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রনা ও রক্তপাত হলে।

·         প্রস্টেট, ব্লাডার, কিডনি, পুরুষাঙ্গ বা টেস্টিসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে।

·         ইউরিনারি স্টোন থাকলে।

·         ইউরিনারি ট্যাক্টের জন্মগত ত্রুটি ধরা পড়লে।কিভাবে শনাক্ত করা যায়?

নিমোক্ত পরীক্ষার সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। যেমন-

·         রুটিন ব্লাড টেস্ট

·         রুটিন ইউরিন টেস্ট

·        পি-এম-এ টেস্ট

·        রেনাল ফাংশন টেস্ট

·         অলট্রাসোনোগ্রাফি

·        সিটি স্ক্যান

·         এম.আর.আই.

বহুল প্রচলিত সার্জারি করতেই হয়। যেমনঃ

·         ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার নিরাময়ের জন্য ইউরেথ্রোক্টমি করা প্রয়োজন।

·         প্রস্টেট অবস্ট্রাকশন রিপেয়ারের জন্য ট্রান্সইউরেথ্রাল রিমেকশন অফ দি প্রস্টেট সার্জারি করা হয়।

·         এছাড়া ব্লাডার টিউমার অপসারনের উদ্দেশ্যে ট্রান্সইউরেথ্রাল রিসেকশন অফ ব্লাডার টিউমার চিকিৎসক করেন।

·         কিডনি স্টোন ও আপার ইউরেটারের ছোট স্টোন মূলতঃ এক্সট্রাকরপোরিয়াল শক লিথোট্রিপসি পদ্ধতিতে অপসারন করা হয়।

·         আবার বড় স্টোনের ক্ষেত্রে পি. সি. এস. এল. পদ্ধতিতে স্টোন অপসারন করা হয় এবং ইউরেটেরোস্কোপিক লিথোট্রিপ্সি পদ্ধতিতে স্টোন অপসারন হচ্ছে।

·         এমন কি বিভিন্ন ক্যানসারের জন্য কিডনি, প্রস্টেট বা ব্লাডার বাদ দেওয়াও ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতিতেই করা হয়।

এছাড়াও কনজেনিটাল ডিজিজের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সার্জারি আছে, যার মাধ্যমে জন্মগত ত্রুটি রিপেয়ার করা হয়। এতে রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারিরও একটা বড় ভূমিকা আছে ইউরোলজিতে।

সার্জারির আধুনিকতাতে ইউরোলজিতে এখন ল্যাপারোস্কোপিক কিংবা এণ্ডোস্কোপিক পদ্ধতির পাশাপাশি লেজার বা রোবোটিক সার্জারি চলে আসায় চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনেক উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে। যার ফলে বহু রোগী এই সার্জারিতে ভীত না হয়ে সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য এগিয়ে এসে সুস্থতার খোঁজ করেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে সার্জারি অনেক সহজ হয়ে গেছে।

আধুনিক সার্জারির সুবিধাও অনেক আছে। যেমন বর্তমানে ইউরোলজিক্যাল ডিজিজের মূল চিকিৎসা সার্জারি হলেও ৯০ শতাংশ সার্জারি প্রায় ব্যথাহীন সামান্য রক্তপাত। পেট কেটে সার্জারির প্রায় দরকারই পড়ে না এবং ২ বা ৩ দিন পরেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যাওয়া যায়।

You might also like!