Video

1 year ago

ব্যান্ড বাজিয়ে শ্মশান যাত্রা, ১২২ বছরের ইনিংসে ইতি, শোক ভুলে শতায়ু বৃদ্ধার শেষযাত্রায় উৎসব মালদহে

 

মালদা;তনুজ জৈন;০১নভেম্বর: সেঞ্চুরি পার করেছিলেন অনেক দিন আগে৷ তার পরেও কেটে গিয়েছিল দু' দশকের বেশি সময়৷ শেষ পর্যন্ত ১২২ বছরে থামলেন মালদহের বাসিন্দা বেলকা মণ্ডল৷ তবে শোক নয়, বেলকাদেবীর শেষ যাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখলেন এলাকার বাসিন্দারা৷ বেলকাদেবীর পরিজনরা অবশ্য বলছেন, তিনি নিজেই চাইতেন না তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে শোকে ডুবে যান প্রিয়জনরা৷ বেলকাদেবীর শেষ ইচ্ছেকে সম্মান দিয়েই ব্যান্ড পার্টি ডেকে জাঁকজমক করে হল তাঁর শেষ যাত্রা৷ কান্নাকাটি দুরস্ত্, বরং দেখা গেল উৎসবের আমেজ। হইচই, নাচানাচি করতে করতে শতায়ুর শেষ যাত্রায় মাতল গ্রামবাসী। যেন বেলকাদেবীর দীর্ঘ জীবনকেই উদযাপন করলেন তাঁর আত্মীয় এবং এলাকার বাসিন্দারা৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯০০ সালের ডিসেম্বর মাসে বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বেলকা মণ্ডল। ইংরেজ শাসন, দেশের স্বাধীনতার সাক্ষী থাকার পর আবার চোখের পাতা ভিজেছে দেশ ভাগের যন্ত্রণায়। স্বাধীনতার পর স্বামীর সঙ্গে ওপার বাংলা থেকে এসে ঘর বাঁধেন এপার বাংলায় মালদহের গাজোল ব্লকের রাণীগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতের করচাডাঙ্গা এলাকায়। একে একে সংসার বাড়ে। আট ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস গাজোলে।স্বামী সুবল মণ্ডল বছর ত্রিশেক আগেই মারা যান। আরও নিঃসঙ্গ হন একে একে পাঁচ ছেলের মৃত্যুতে। তবে, এর পরেও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সংসারে হাসিখুশিতেই ছিলেন বেলকা মণ্ডল। গত বিধানসভাতেও নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি।পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে গল্পের ছলে বলতেন, ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা আর দেশভাগের গল্প। বলতেন, যাওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যদের ডেকে বলে দিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুতে যেন কোনওরকম শোকের আবহ তৈরি না হয়। বরং হাসিমুখে শেষ বিদায়ের কথাই বারবার বলতেন তিনি।

You might also like!