দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কার্শিয়াংয়ের একটা ছোট্ট গ্রাম এটা। তবে কার্শিয়াংয়ের মতো লোকের ভিড় এখানে নেই। বড্ড ফাঁকা। একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে এখানে আসলে প্রকৃতির সঙ্গে।
কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ শোভা এখনে পাবেন। বেলতার গ্রামের এই রিসর্টটি আপাতত চালাচ্ছে জিটিএ। তবে বুকিং করতে হবে আপনাকে ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি বা ফোন করে। চারদিকে চা বাগান। পাশেই রয়েছে কুলকুল করে বয়ে চলা একটা পাহাড়ি নদী। মহারানী পাহাড় আর মার্গারেট হোপ চা বাগান ঘিরে রেখেছে এই গ্রামকে। সারাক্ষণ মেঘের আনাগোনা, পাখির ডাক আপনার মন ভোলাবে।
বেলতার রিভারসাইড রিসর্টের অন্যতম আকর্ষণ হল এর সুইমিং পুল। চারদিকে কটেজ আর মাঝখানে সুইমিং পুল। কনকনে ঠান্ডায় জমে গেলেও আপনার আলাদাই আনন্দ হবে এই পুলে গা ভাসাতে। রিসর্টের আশেপাশে গ্রামের রাস্তা ধরে হেঁটে আসুন। গিয়ে বসুন নদীর ধারে। রাতে করুন বনফায়ার।
কী দেখবেন:
বেলতার কার্শিয়াংয়ের অফবিট জায়গা। এই গ্রামে তাই ঘুরে দেখার মতো জায়গা প্রচুর আছে, কিন্তু নেই কোনও টুরিস্ট পয়েন্ট। প্রকৃতিকে ভালোবাসলেই আসতে হবে এখানে। তবে চাইলে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন কার্শিয়াংয়ের ঝুলন্ত ক্যাফে মার্গারেট ডেক। এছাড়াও চলে যান ডাও হিল ভুত দেখতে, হনুমান টক, ইগলস ক্র্যাগ, গিড্ডা পাহাড়।
কীভাবে আসবেন:
প্রথমে ট্রেনে এনজিপি বা প্লেনে বাগডোগরা। সেখান থেকে কার্শিয়াং হয়ে মার্গারেট হোপ চা বাগানের দিকে নেমে আসতে হবে খারাই রাস্তা ধরে। রাস্তার পাশেই বড় বড় করে ফলকে লেখা আছে মার্গারেট হোপ। সেই রাস্তা ধরে সোজা এসে ধাক্কা খান বেলতার রিভারসাইড রিসর্টে।