Breaking News
 
AC local: বনগাঁ শাখায় নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লোকাল, মালদহ রুটে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস! সম্ভাব্য সূচনা ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে Kapil Sharma's cafe: কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে খলিস্তানি হামলা, দায় স্বীকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হরজিত লাড্ডির! Niti Ayog: নীতি আয়োগের রিপোর্টে মানচিত্র বিভ্রাট! মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পর সরল নীতি আয়োগের ত্রুটিযুক্ত মানচিত্র Shashi Tharoor: ‘গণতন্ত্রের অন্ধকার অধ্যায়’ – ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনায় শশী থারুর! Kolkata Security Breach: ভুয়ো আধার হাতে কলকাতায় বছরভর বাস, ফোর্ট উইলিয়ামে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা, পাকড়াও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী! Mamata Banerjee-Omar Abdullah: বঙ্গসফরে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মমতার সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক বার্তা!

 

Travel

1 year ago

Kalimpong's green island Gitkhola:কালিম্পঙ এর সবুজ দ্বীপ গীতখোলা নতুন পর্যটন

Kalimpong's green island Gitkhola
Kalimpong's green island Gitkhola

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ একসময় কালিম্পং জেলার এই এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করে নিয়েছিল ব্রিটিশ সাহেবরা। তবু এখানে আজও প্রকৃতির ডাকে নিয়ম করে আসে আষাঢ়-শ্রাবণ, ঝরে যায় ঘনঘোর বৃষ্টি, বয়ে যায় জলের স্রোত, ভরে ওঠে পাহাড়ি ঝরনা, সবুজের মুগ্ধতায় ভরে ওঠে চারপাশ।

কালিম্পং জেলার গরুবাথানের ব্লকের গীতখোলা যেন রাজাবিহীন এক সবুজ দ্বীপের কাহিনি।

উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশরা এই পাহাড়ি গ্রামের জঙ্গল থেকে গাছ কেটে আসবাবপত্র তৈরি করত। এমনকী এখানকার কাঠ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানিও করা হত। তারপর ১৯৩৭ সালে এখানে একটা লোহার ব্রিজও তৈরি করে ব্রিটিশ সরকার। তারপর গীতখোলা থেকে কাঠ কাটার ব্যবসা আরও বেড়ে যায়। তবে, এখন আর কেউ এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদে হাত দেয় না। বরং, এখানে মানুষের আনাগোনা খুব কম।

পাহাড়ের মাঝ দিয়ে অবিরাম বয়ে চলেছে ঝর্না। দু’পাশে ঘন সবুজ জঙ্গল। মাঝে এখনও রয়েছে ব্রিটিশদের তৈরি সেই লোহার ব্রিজ। লোহার ব্রিজের সঙ্গে এখানে ঢালাই করা ব্রিজও রয়েছে। সেটা একটু নীচের দিকে। এখন গ্রামের মানুষ ওই ব্রিজ উপর দিয়েই যাতায়াত করে। তবে আপনি হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন উপরের লোহার ব্রিজে। লোহার ব্রিজে উঠে যাওয়ার সময় সাবধান থাকা জরুরি। অযত্নে পড়ে থাকা ব্রিজের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। তবে, এই ব্রিজ থেকে গীতখোলার ভিউ দেখা যাবে খুব সুন্দর।

যদিও এখানে একটা নয়, তিনটে ঝর্না একসঙ্গে নেমে আসে পাহাড়ের গা বেয়ে। তাই জায়গার নামও গীতখোলা থ্রি সিস্টার ওয়াটারফলস (Geet Khola Three Sister Waterfalls)। মেঘালয়ের সেভেল সিস্টার ওয়াটারফলসের মতো দৃশ্য যদিও এখানে পাবেন না, কিন্তু গীতখোলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মন ভোলানো। এই তিনটে একসঙ্গে দেখতে গেলে ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হবে গীতখোলা ভিউ পয়েন্টে। এই ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আপনি দেখতে পাবেন গীতখোলার আসল সৌন্দর্য।

গীতখোলা ভিউ পয়েন্টের রাস্তা ধরে মাত্র ৩ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন নকডারা হ্রদ। নকডারা কালিম্পংয়ের অন্যতম অফবিট ডেস্টিনেশন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৬০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই নকডারা। ১০ হাজার ফুট এলাকা জুড়ে অবস্থিত নকডারা হ্রদ। সুতরাং, নকডারা থেকেও আপনি গীতখোলা আসতে পারেন। তবে, গীতখোলা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল লুনসেন দিয়ে পৌঁছান। নিউমল জংশনে নেমে মালবাজার, ওদলাবাড়ি হয়ে পৌঁছে যান লুনসেল। লুনসেল থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে এই গীতখোলা। গীতখোলায় রাত্রিযাপনের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই আপনাকে ঝান্ডি, লুনসেল কিংবা নকডারাতে রাত কাটাতে হবে।




You might also like!