Life Style News

1 year ago

Fish:অত্যাধিক মাছ খাওয়া বিপজ্জনক এই ৭টি কারণে

Eating too much fish is dangerous for these 7 reasons
Eating too much fish is dangerous for these 7 reasons

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ  মাছ বাঙালিদের অত্যান্ত প্রিয়। এটি অত্যান্ত উপকারী খাবার। যেকোনও মাছেই রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাছের পুষ্টিগুণ অপরিসীম। মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু সাতটি কারণ রয়েছে। অত্যাধিক মাছ খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

মাছে পারদ থাকে -- অনেক ধরনের মাছে উচ্চ মাত্রার পারদ থাকে, যা বমি বমি ভাব, বমি এবং পেটে ব্যথার মতো হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, পারদ আপনার অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং তাদের খাবার সঠিকভাবে হজম করার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। অতএব, পরিমিত পরিমাণে মাছ খাওয়া এবং উচ্চ মাত্রার পারদযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

অত্যাধিক লবণ-- মাছে সোডিয়াম বেশি থাকে। যা অন্ত্রের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে। শরীর ফুলে যাওয়া , কষ্ঠোকাঠিন্যের মত সমস্যাগুলি তৈরি করে। হজমের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই অত্যাধিক মাছ খাওয়ার আগে এই সমস্যাগুলির দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সোডিয়াম কম রয়েছে এমন মাছ খাওয়া ভাল। মাছ রান্নার সময় কম নুন দিতে হবে।

ফাইবারের অভাব -- মাছে উল্লেখযোগ্যভাবে ফাইবার কম থাকে। ফাইবারের এই অভাব অন্ত্রের ব্যাকটোরিয়া বৃদ্ধি আর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে। অন্ত্রের সুস্থতার জন্য মাছের সঙ্গে প্রয়োজনীয় শাকসবজি খাওয়া খুবই জরুরি।

অস্বাস্থ্যকর চর্বি -- ছু ধরণের মাছে অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যেমন ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই চর্বিগুলি অন্ত্রে প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) এর মতো হজমের সমস্যা হতে পারে। অতএব, অস্বাস্থ্যকর চর্বি কম এমন চর্বিযুক্ত ধরণের মাছ বেছে নেওয়া ভাল।

অত্যাধিক অ্যান্টিবায়োটিক - যেসব মাছ চাষ করা হয় সেগুলিতে রোগ প্রতিরোধ করতে ও তাড়াতাড়ি বড় করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। যা অন্ত্রের খারাপ ব্যাকটোরিয়ার বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। মাছের কারণে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের সমস্যা তৈরি হয়।

পরিবেশগত দুষণকারী -- মাছ দূষিত জলের উত্স থেকে ভারী ধাতু, কীটনাশক এবং মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলির মতো পরিবেশগত দূষকগুলির সংস্পর্শে আসে। এই দূষকগুলি আপনার অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে হজমের সমস্যা যেমন ফোলাভাব, বমি বমি ভাব এবং ক্লান্তি দেখা দেয়। অতএব, নিরাপদ উত্স থেকে মাছ কেনা এবং সেগুলি খাওয়ার আগে সেগুলি সঠিকভাবে রান্না করা হয়েছে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যালার্জি -- কিছু লোকের মাছে অ্যালার্জি থাকতে পারে। মাছ অত্যাধিক খেলে পেটে খিঁচুনি , ডায়েরিয়া, বোমি হওয়ার মত সমস্যা তৈরি করে। হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাছ খাওয়ার পরে অ্যালার্জি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

You might also like!