গুগলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে। যেহেতু সমস্ত সরকারি বাসে ইতিমধ্যেই ভিএলটিডি (ভেহিকেল লোকেশান ট্র্যাকিং ডিভাইস) লাগানো হয়ে গিয়েছে। ফলে সেগুলোকে ট্র্যাক করতে কোনও সমস্যা হবে না। প্রথমে সব সরকারি এসি-নন এসি বাসগুলোকে এই অ্যাপের আওতায় আনা হবে। পরে বেসরকারি বাসকেও ঢোকানো হবে নয়া অ্যাপে। যেহেতু সেগুলোতেও এই যন্ত্র লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বাসের সঠিক অবস্থান জানতে বছর ছয়েক আগে চালু হয়েছিল ‘পথদিশা’ অ্যাপ। রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের তরফে তৈরি এই অ্যাপ ক্রমশ যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়। গোটা দেশে প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু বিপত্তি বাধে লকডাউনের পর থেকেই। যে উদ্দেশে বানানো হয়েছিল অ্যাপ, সে সুবিধাই আর মিলছিল না।
সূত্রের খবর, এই বাস না দেখা যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, বাস ছাড়ার পর ডিপোয় থাকা স্টার্টার তা নিজস্ব অ্যাপে ইনপুট করছেন না। ফলে তা দেখা যাচ্ছিল না অ্যাপে। পরে যে সংস্থার সঙ্গে এই চুক্তি করেছিল পরিবহণ দপ্তর তা আর পুনর্নবীকরণ না করায় পরিষেবাই বন্ধ হয়ে যায়। আবারও তা ফিরিয়ে আনা হবে বলেই পরিবহণ দপ্তরসূত্রে জানা গিয়েছে। এই অ্যাপ যখন চালু হয়েছিল, তখন পুরনো সরকারি বাসে একটা করে মোবাইল দেওয়া হয়েছিল। জিপিএসের মাধ্যমে সেই বাস ট্র্যাক করা হচ্ছিল। আর নতুন সরকারি বাসে ছিল ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম।
পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ বাসেরই এই ট্র্যাকিং সিস্টেম খারাপ হয়ে যায়। আর যেগুলোতে মোবাইল ছিল সেগুলোও বিকল হয়েছে বেশিরভাগ। তবে এখন নতুন, পুরনো সব বাসেই ভিএলটিডি বসানো হয়ে গিয়েছে। ফলে তাকে ট্র্যাক করতে সমস্যা হবে না। আর যাত্রীরাও মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন বাসের অবস্থান। তবে নয়া অ্যাপের নাম কী হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।