kolkata

3 months ago

Home Ministry Sent Delegation Team: ভোট মিটতেই ফের বঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, দেখবেন খরচের খতিয়ান

Mamata Banerjee & Amit Shah (File Picture)
Mamata Banerjee & Amit Shah (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিদল ভোট মিটতেই জুনের শেষে রাজ্যে আসছে। দলের সদস্যরা জঙ্গলমহলে নিরাপত্তা খাতে দেওয়া টাকা খরচ কী ভাবে হচ্ছে, তার খতিয়ান দেখতে পারেন। পাশাপাশি দলের প্রতিনিধিরা জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে এখনকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রিভিউ করতে পারেন। কেন্দ্রে নতুন মন্ত্রিসভার দপ্তর বণ্টন হয়েছে দিনদুয়েক আগেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এর পরেই বাংলায় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত কয়েক বছরে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিতে টাকা খরচ এবং উপভোক্তাদের তালিকা খতিয়ে দেখার জন্য একাধিকবার তদন্তকারী দল পাঠিয়েছিল দিল্লি। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তরজা চরমে উঠেছিল। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এবারও কি দু’পক্ষের সম্পর্ক সেদিকেই মোড় নিতে চলেছে?

স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এই দলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরও দল পাঠাচ্ছে বলেও খবর। একই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আরও একটি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। এই আবহেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বুধবার রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় আদালতে রাজ্য জানায়, এধরনের অধিকাংশ অভিযোগেরই সারবত্তা নেই। কারণ, সেগুলি একই মেল আইডি থেকে করা হচ্ছে।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কাজ করবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিদল। তবে তাদের কাজের ধরন কী হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই নবান্নের। যদিও রাজ্য প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, বরাদ্দ অর্থ খরচ সংক্রান্ত তথ্য, সমস্ত নথি এবং ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ যথাসময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও কেন এই প্রতিনিধিদলের আগমন, তা বোধগম্য হচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই দল পাঠানোর পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতেও একটি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। বিধানসভা ভোটের পরে এমন একটি দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন এবং আরও কয়েকটি কমিশন এসে ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট তৈরি করেছিল। এবারও তেমন কিছু হয় কি না, সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানতে চায়, এখনও পর্যন্ত যা অভিযোগ জমা পড়েছে তার ভিত্তিতে কী করেছে পুলিশ? আগামী ১৪ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়। শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা থানায় অভিযোগ জানানোর সাহস পাচ্ছেন না। কিন্তু মামলাকারী নির্বাচিত বিধায়কেরও (শুভেন্দু অধিকারী) সেই সাহস নেই?’

তাঁর যুক্তি, ‘এগুলো আদপেই জনস্বার্থ মামলা নয়। কয়েকজন অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা কোনও অভিযোগই করেননি।’ এর আগে বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিসের ডিজি-র অফিসের মেলে অভিযোগ জানানোর রাস্তা খুলে দেয়। এদিন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজ্য জানায়,✓একই ব্যক্তির মেল আইডি থেকে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বলেন, প্রত্যেক আক্রান্তের পক্ষে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সম্ভব হয় না। সেই জন্যই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে হয়েছে।

You might also like!