দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বড়সড় দুর্নীর্তির অভিযোগ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (Burdwan University)।সই জাল করে স্থায়ী আমানতের টাকা ভেঙে অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের মতো গুরুতর অভিযোগ। এই বিষয়ের জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে।
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্টার দাবি করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার এবং ফিন্যান্স অফিসার মূলত এই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ইডির কাছে ইতিমধ্যে এই মামলা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ে। সেই প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা কেন্দ্রীয় এজেন্সির থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন।
আর্থিক তছরুপের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে আদালতে সিআইডির তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় তারা দুজনকে গ্রেফতার করেছে এবং কিছু টাকাও উদ্ধার করা গেছে।
এই তথ্য জানার পর বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, সিআইডিকে আরও দ্রুত তদন্ত করতে হবে এই মামলায়। তারা চাইলে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়াও প্রয়োজনে ইকোনমিক অফেন্স উইঙ্গের সাহায্য নিতে পারবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, মামলার আগামী শুনানিতে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিআইডিকে।
এই মামলাতেই দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম জড়িয়েছে। সেই ব্যাঙ্কগুলিতে দুর্নীতির টাকা রাখা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককেও রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।