kolkata

4 months ago

Dengue Surge : পুরসভা ফাঁকা জমিই কাল! ডেঙ্গি রুখতে তৈরি বিশেষ টিম

Precautions for Dengue (File Picture)
Precautions for Dengue (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জমা জল তো বটেই সঙ্গে ফাঁকা জমিও রয়েছে তালিকায়। ডেঙ্গি বৃদ্ধির নেপথ্যে ফাঁকা জমিকেই মূল ভিলেন বলল কলকাতা পুরসভা। ফাঁকা জমিতে বিশেষ সতর্কতা জারি করল স্বাস্থ্যভবন। সেখানে যাতে মশার লার্ভা না জন্মাতে পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ফাঁকা জমিতে কোনও ভাবেই জল জমতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের জন্য মূলত ফাঁকা জমিই খলনায়ক বলে মনে করে কলকাতা পুরসভা। পুর দপ্তরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে যে ক’টি কারণকে ডেঙ্গির জন্য দায়ী করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো পড়ে থাকা ফাঁকা জমি। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এমন ফাঁকা জমিতে অভিযানে নেমে ৩,৯৭০টি ক্ষেত্রে এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভার হদিশ মিলেছিল।

সে কথা মাথায় রেখে এ বার ফাঁকা জমিতে বাড়তি নজর রাখতে পুরসভাকে নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্যভবন। এক কর্তা বলেন, ‘মশার আতুঁড়ঘর হতে পারে, এমন জায়গায় বাড়তি নজর রাখার কথা আমরা বলেছি। কারণ বর্ষা নামনেই ওই সব জায়গায় লার্ভা জন্মানোর সুযোগ সবচেয়ে বেশি।’ নজরদারি মজবুত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্যকর্তারা।

পতঙ্গবিদ গৌতম চন্দ্রের মতে, ‘এই ফাঁকা জমিগুলিতে কোনও ভাবেই যাতে সাত দিনের বেশি জল না-জমে, তা খেয়াল হবে। কারণ তার বেশি জল থাকলেই মশার লার্ভা জন্মানোর সুযোগ বেশি পাবে।’ তাঁর পরামর্শ, এই ধরনের জমিগুলিতে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করা হোক। পাটুলির বাসিন্দা অরিন্দম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বেশ কিছু ফাঁকা জমি রয়েছে। যা মশার আঁতুরঘর। পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে মালিক কোনও পদক্ষেপ করেন না। পুরসভার কাউকে আসতে দেখি না। সে কারণে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত হয় এই তল্লাটে।’

পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের যদিও দাবি, দক্ষিণ কলকাতা ও সংযোজিত এলাকায় ফাঁকা জমি বেশি। এই ধরনের ফাঁকা বা পরিত্যক্ত জমির সন্ধান পেলেই মালিককে আইনি নোটিস দেওয়া হচ্ছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। অনেক ক্ষেত্রেই মালিকের দিক থেকে সাড়া না-মিললে পুরসভা নিজে থেকেই সাফাই অভিযান চালায় বলে দাবি এক পুরকর্তার।

দক্ষিণ কলকাতা এবং সংযোজিত এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি অজয়নগর, যাদবপুর, বেহালা, কসবা, হরিদেবপুর এবং গরফায়। এই এলাকাগুলিতে ফাঁকা জমিও পড়ে রয়েছে অনেক। ওই সব এলাকার ফাঁকা জমিতে মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে, সে জন্য বিশেষ টিম তৈরি করেছে পুরসভা। ড্রোনেও চলছে নজরদারি। এলাকার পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলিকেও ফাঁকা জমিতে নজরদারি রাখার আর্জি জানানো হয়েছে।

পুরসভার মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘ফাঁকা জমির দিকে বছরের শুরু থেকেই আমরা বাড়তি নজর রেখেছি। বিশেষ টিমও তৈরি করা হয়েছে নজরদারির জন্য।’

You might also like!