দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতা মেট্রোরেলের কর্তাদের দাবি রিষেবা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, দেশের সব ক’টি জ়োনের মধ্যে রেক-পিছু মেনটেন্যান্স স্টাফ কলকাতা মেট্রোতেই সর্বাধিক। তবে, তাঁরা যা-ই বলুন, বেহাল পরিষেবার উদাহরণ তুলে সেই দাবি নস্যাৎ করছে মেট্রো-কর্মীদের সংগঠন ‘মেট্রোরেল মেনস ইউনিয়ন’।
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র অবশ্য বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ৫৬৭ জন কর্মী আছেন। তাই কর্মীর অভাবের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ সংস্থা জানাচ্ছে, কলকাতায় মেট্রোয় রেক আছে ৪৬টি। শুধু সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণেই আছেন ৭৭ জন।
হিসেব অনুযায়ী, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, জোকা ও নোয়াপাড়া — মেট্রোর তিনটি শেড তৈরিতে এ পর্যন্ত ২১০০ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে জোকার শেডেই খরচ হয়েছে ৭০০ কোটির বেশি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দেওয়া এই হিসেবকেও চ্যালেঞ্জ করছে কর্মী-সংগঠন।
সংগঠনের তরফে শিশির মজুমদারের বক্তব্য, ‘রক্ষণাবেক্ষণে এত কর্মী থাকা সত্ত্বেও স্টেশনে জল ঢুকে যাচ্ছে! একদিন চাকা থেকে ধোঁয়া বেরোয়, কোনওদিন এসি থেকে চুঁইয়ে জল পড়ে! ট্রেন চালানোর জন্য মোটরম্যান পদে কতগুলো পোস্ট ফাঁকা, সেটা একবার জানান কর্তৃপক্ষ।’
মেট্রো-কর্তারা অবশ্য এই অভিযোগকে আমল দিচ্ছেন না। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, মেট্রো নিয়ে রেলবোর্ডের প্রচুর ভাবনা আছে। মেট্রোয় বিদ্যুৎ জোগান দেয় যে থার্ড লাইন, সেটি ইস্পাতের তৈরি। ভবিষ্যতে এই থার্ড লাইনকে পুরোপুরি অ্যালুমিনিয়মে বদলে ফেলা হবে। এ জন্য বোর্ড এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে।