দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ কিছু সময় পরেই কলকাতার দুই কেন্দ্র-সহ রাজ্যের মোট নটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল লোকসভার অন্যতম বিট বাউন্সার এলাকা যাদবপুর। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাঙ্গুলিবাগানে সিপিএম কর্মীদের মারধর করেছে তারা। এই খবর কর্ণগোচর হতেই সেখানে তড়িঘড়ি ছুটলেন যাদবপুর লোকসভার সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা। যদিও মারধরের অভিযোগে 'না'ই ঘাসফুলের।
গাঙ্গুলিবাগানের রবীন্দ্রপল্লি, রায়পুরে তিন সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। আক্রান্ত এক ব্যক্তি জানান, ডিম কিনে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। তৃণমূলের লোকজনই তাঁকে মারধর করেছে বলেই অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন উর্দিধারীরা। ঘটনাস্থলে যান সিপিএম প্রার্থী সৃজনও। তিনি বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত বুঝে ভোটের আগে বাম কর্মীদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে কারণেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।” স্থানীয় পুলিশ শাসক শিবিরকে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলেও অভিযোগ সৃজনের।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ মে, গাঙ্গুলিবাগানে বামকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে খাবার কিনতে যাচ্ছিলেন এক বামকর্মী। অভিযোগ, সেই সময় গাঙ্গুলিবাগান এলাকায় তাঁর পথ আটকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওই বামকর্মীকে এজেন্ট হিসেবে বুথে বসতে বারণ করে বলে দাবি। তিনি তা শুনতে রাজি হননি। এর পরই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
অভিযোগ, সেই সময় ওই বামকর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্বরে এক অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরেন যাদবপুরের বামপ্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। অভিযুক্তের হাত ধরে রেখে থানায় ফোন করেন তিনি। পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়ান সৃজন। পরবর্তীতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গাঙ্গুলিবাগানে উত্তেজনা।