কলকাতা, ১ জুন: ভোটের দুপুরে আচমকাই শিরোনামে এহেন উত্তর কলকাতা। বেলেঘাটার 'বাহুবলী'র অফিসে আচমকাই হাজির তৃণমূলের তারকা প্রচারক কুণাল ঘোষ। খবর পাওয়া মাত্র সেখানে হাজিন হন তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় ও বিধায়ক পরেশ পাল। হঠাৎ এই 'বৈঠক' কেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
রাজু নস্কর বাহুবলী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। কান পাতলেই শোনা যায়, উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের ভোট মেশিনারি নাকি তিনিই পরিচালনা করেন। কার্যত বুথে বুথে দাপিয়ে বেড়াতেন তিনি। এহেন রাজু এবার ভোটের সকাল থেকেই নিজের অফিসে বসে। তবে কি এবার নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি? সে কথা অবশ্য মানতে নারাজ রাজু নিজেই। বলছেন, "এখন তো ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপেই সব করা যায়। তার জন্য বুথে যেতে হয় না।"
সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "মানুষ ভোট দিচ্ছেন। গত ৫ বছরে সুদীপদা সংসদ থেকে টাকা এনেছেন, মানুষের উন্নয়ন করেছেন। সেই মতো মানুষ ভোট দিচ্ছে।"
জল্পনা আরও বাড়ে যখন ভোটের দুপুরে তাঁর অফিসে হঠাৎই হাজির হন কুণাল ঘোষ। যিনি আবার একসময় দাবি করেছিলেন, উত্তর কলকাতা থেকে যেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে অন্য কাউকে টিকিট দেওয়া হয়। তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্রের গলায় শোনা গিয়েছিল সদ্য তৃণমূলত্যাগী তথা উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের প্রশংসা। এর জেরে দলের রাজ্য সম্পাদক এবং তারকা প্রচারক পদ থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তারকা প্রচারক হিসেবে ফিরেও আসেন। সুদীপের হয়ে প্রচারও করেছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুদীপ-কুণালকে ডেকে সাফ জানিয়েছিলেন, "একসঙ্গে কাজ করতে হবে। উত্তর চাই-ই।"এহেন কুণাল রাজুর অফিসে যাওয়ার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে সেখানে আসেন বিধায়ক তাপস পাল এবং বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।