
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও বাড়ে। চিকিৎসকদের মতে, ঠান্ডার সময়ে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ইউরিক অ্যাসিড পিউরিনের বিপাকজাত বর্জ্য, যা সাধারণত কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে বা অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড জমে যায়। এর ফলে গাঁটে ক্রিস্টাল তৈরি হয়ে তীব্র ব্যথা, ফোলা ও লালচে ভাব দেখা দেয়, যা গাউট বা গেঁটে রোগ নামে পরিচিত।
ইউরিক অ্যাসিড কেন বাড়ে?
ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার মূল কারণ হল পিউরিন-সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ।
১. খাসি বা ভেড়ার মাংস এড়িয়ে চলুন।
২. সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিউরিন থাকে। সামুদ্রিক কাঁকরা, চিংড়ি প্রভৃতি খাবেন না।
৩. মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
৪. টক জাতীয় ফল খাবেন না। লেবু, তেঁতুল, আমলকি প্রভৃতি এড়িয়ে চলুন।
৫. বাজার চলতি কোনও হেলথ ড্রিঙ্কস একদম নয়।
ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার প্রধান লক্ষণঃ
১. সাধারণত পায়ের বুড়ো আঙুলে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়।
২. গাঁট ফুলে ওঠে এবং গরম হয়ে ওঠে।
৩. ব্যথার কারণে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয়।
৪. ঘন ঘন প্রস্রাব।
৫. গা-গোলানো ভাব।
৬. পিঠের দুপাশে ব্যথা।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের উপায়ঃ
১. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করা আবশ্যক। এটি শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে।
২. পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার কঠোরভাবে এড়িয়ে চলুন।
৩. অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমানোর চেষ্টা করুন।
৪. নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা করুন।
৫. শীতে শরীর গরম রাখুন, বিশেষ করে গাঁটগুলো ঢেকে রাখুন।
৬. তীব্র ব্যথা বা দীর্ঘদিনের সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
