দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জগন্নাথদেবকে প্রতিদিন যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়,তার অন্তিম ভোগ হলো নিমপাতা বাটা। পুরণমতে ওই ৫৬ ভোগ খেয়ে জগন্নাথ দেবের পেটের অসুখ হবে আর ওই নিমপাতা বাটা তাঁর পেটকে সুস্থ রাখবে। এবার পুরান প্রসঙ্গ ছেড়ে দিয়ে বাস্তব গবেষণার জগতে আসলেও আমরা তার প্রমাণ পাই। আসুন এ বার নিমের ১০টি আশ্চর্য ওষধিগুণ ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
১. নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী।
২. নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক (ফাঙ্গাস) বিরোধী। তাই ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করতে নিমপাতা খুবই কার্যকরী! ব্রণর সমস্যা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।
৩. ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ভাল করে বেটে মেখে দেখুন। খেয়াল রাখতে হবে, মিশ্রণে নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ যেন কম হবে। তবে হলুদ ব্যবহার করার পর কয়েক ঘণ্টা রোদ এড়িয়ে চলাই ভাল।
৪. দাঁতের জন্য নিমের ডাল খুবই উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আর দাঁতের ফাঁকে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে নিম বেশ কার্যকরী।
৫. কেটে-ছড়ে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষত স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।
৬. নিম পাতা রোদে শুকিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারলে পরবর্তীকালে তা ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগাতে পারলে এই চুলকানির সমস্যা কমে যায়। তাছাড়া নিমপাতার রসে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা বা রুক্ষ ভাব কমে যায় এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে।
৮. শুধুমাত্র চুলের নয় ত্বকের যে কোনও চুলকানির সমস্যায় নিমপাতা বেটে লাগাতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
৯. গায়ের দুর্গন্ধ বা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
১০. নিয়মিত সামান্য পরিমাণে নিমপাতা খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ নানা লিভারের সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই সঙ্গে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত, ক্ষতিকর উপাদান বের করে শরীর সুস্থ-সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকর