Breaking News
 
India vs Australia: শ্রেয়স-রোহিতের দৃঢ়তা, হর্ষিতের দুরন্ত ব্যাটিং; অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো রান ভারতের Kolkata:প্রেমালাপের সুযোগে সর্বনাশ! ডেটিং অ্যাপের তরুণীর দেওয়া পানীয় খেয়ে খোয়ালেন সোনা-টাকা Mamata Banerjee:ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ উপহার: ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা’, নতুন গানে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী EC:কমিশনের কাজ প্রত্যাখ্যান! দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় ছ’শোর বেশি বিএলওকে শোকজ Tejaswi yadav :জোটের ঐক্য বজায় রাখতে কংগ্রেসের 'আত্মবলিদান'! বিহারে তেজস্বীই 'ইন্ডিয়া'-র মুখ্যমন্ত্রী মুখ Twinkle Khanna Andt Karan Johar : টুইঙ্কলের প্রশ্নে বিপাকে করণ? রাখঢাক না করে বললেন, কত বছর বয়সে হারান ভার্জিনিটি

 

Festival and celebrations

2 months ago

Ganesh Chaturthi 2025: ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’—ভক্তির মেলবন্ধনে আগমন ‘বিঘ্নহর্তা’র শুভ উৎসব!

Ganesh Chaturthi 2025
Ganesh Chaturthi 2025

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: গণেশ চতুর্থী হিন্দু ধর্মের অন্যতম জনপ্রিয় ও বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব, যা প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে পালন করা হয়। ২০২৫ সালে এই উৎসব উদযাপিত হবে ২৬ আগস্ট সোমবার, আর গণেশ মূর্তির বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার। 

এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হল ভগবান গণেশের মূর্তিকে ঘরে বা মণ্ডপে স্থাপন করে তাঁকে পূজা করা, যা চলে মোট দশদিন পর্যন্ত। ২০২৫ সালে চতুর্থী তিথি শুরু হবে ২৬ আগস্ট দুপুর ১:৫৪ মিনিটে এবং শেষ হবে ২৭ আগস্ট দুপুর ৩:৪৪ মিনিটে। এই সময়কালের মধ্যেই গণেশের “প্রাণ প্রতিষ্ঠা” ও মূল পূজার আচার অনুষ্ঠিত হয়। পুরাণ মতে, দেবী পার্বতী স্বয়ং তাঁর স্নানের ফেনা দিয়ে গণেশকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁকে নিজের দেহরক্ষী হিসেবে রেখেছিলেন। একবার শিবজী পার্বতীর অনুমতি না নিয়েই ঘরে প্রবেশ করতে গেলে গণেশ তাঁকে বাধা দেন। রুষ্ট হয়ে শিব গণেশের শিরচ্ছেদ করেন। পরে দেবী পার্বতীর অনুরোধে একটি হাতির মাথা জুড়ে তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করা হয় এবং তখন থেকেই গণেশ হন “বিঘ্নহর্তা” ও সকল শুভ কাজের আগমূর্ত্তি। গণেশ চতুর্থীতে ভক্তরা ঘরে বা প্যান্ডেলে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি স্থাপন করে নানা আচার পালনের মাধ্যমে পূজা করেন। আরতি, ভোগ নিবেদন, মন্ত্রপাঠ, ও ধূপ-দীপ দিয়ে দেবতাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। গণেশের প্রিয় ভোগ হল ‘মোদক’, যার মধ্যে নারকেল ও গুড় দেওয়া মিষ্টি পুর থাকে।

গণেশ চতুর্থীর সঙ্গে একটি বিশ্বাসও জড়িয়ে রয়েছে—এই দিনে চাঁদ দেখা অশুভ বলে গণ্য। কারণ এই দিনে চাঁদ দেখে শ্রীকৃষ্ণ ভুলভাবে গণেশকে চোর বলে সন্দেহ করেছিলেন এবং পরে সেই অপবাদ থেকে মুক্তি পেতে তাঁকেই আবার পূজা করতে হয়েছিল। তাই অনেকেই এই দিন চাঁদের দিকে না তাকানোর চেষ্টা করেন। উৎসবের অন্তিম দিন ‘অনন্ত চতুর্দশী’-তে গণেশ বিসর্জন হয়। এই দিনে ভক্তরা গান, নাচ, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, “গণপতি বাপ্পা মোরিয়া, আগলে বরস তু জলদি আ” ধ্বনি তুলে মূর্তি জলাশয়ে বিসর্জন দেন।

এই উৎসব মূলত মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, গোয়া প্রভৃতি রাজ্যে এটি বিশেষভাবে ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়। তবে আজকাল পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, গুজরাট সহ অন্যান্য রাজ্যেও গণেশ চতুর্থী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গণেশ চতুর্থী শুধুমাত্র দেবতার পূজা নয়, বরং একতার বার্তা, সংস্কৃতির উদযাপন এবং নতুন সূচনার প্রেরণা। ২০২৫ সালের এই উৎসবও সেই ঐতিহ্যকেই বহন করে চলবে — আশীর্বাদ, আনন্দ ও ভক্তির মেলবন্ধনে।

You might also like!