Country

3 months ago

Neet 2024 Scam : অধ্যক্ষ খালি উত্তরপত্র ভরার দায়িত্বে, টিচার গোধরা থেকে গ্রেপ্তার ৫

Principal, teacher arrested from Godhra for filling in blank answer sheets
Principal, teacher arrested from Godhra for filling in blank answer sheets

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমেই পোক্ত হচ্ছে নিট-এ ‘সেন্টার হাইজ্যাকিং’-এর তত্ত্ব। যদিও এখনই নিট-দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্ত নয় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কাউন্সেলিং শুরু হবে ৬ জুলাই। জানা গিয়েছে, খালি উত্তরপত্র জমা দিয়ে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’ উতরোনোর চেষ্টা করেছিলেন একদল পরীক্ষার্থী। সে জন্য বিপুল টাকা ব্যয় করেন এঁরা।

বিভিন্ন রাজ্যে এমন জনা ৩০ পরীক্ষার্থীর জন্য যারা এই ছক কষেছিলেন, সেই নাটের গুরুরাই এখন পুলিশের জালে। গোধরার ‘জয় জলরাম’ স্কুলের অধ্যক্ষ-সহ অন্তত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পঞ্চমহল জেলার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ওই স্কুলের এক ফিজ়িক্সের শিক্ষকও। তিনি আবার ছিলেন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে নিট-এর জন্য নিযুক্ত ডেপুটি সুপারিনটেডেন্ট। এই দু’জনের উপরেই খালি উত্তরপত্রে ঠিক আনসার লেখার দায়িত্ব বর্তেছিল।

গোধরা এবং সংলগ্ন জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা তো ছিলেনই। বেশ ক’টি ভিন রাজ্যের প্রায় ৩০ জন নিট পরীক্ষার্থীরও সিট ছিল ওই কেন্দ্রে। কেন ও কী ভাবে অন্যান্য রাজ্য থেকে এত জন পরীক্ষার্থী গোধরার ওই জয় জলরাম স্কুলকেই বেছে নিলেন, সে ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ গুজরাট পুলিশের। সেই ইনভেস্টিগেশনেই ‘সেন্টার হাইজ্যাকিং’-এর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

দিন পাঁচেক আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বিভোর আনন্দ ও পরশুরাম রাই নামে দুই পরীক্ষা-মাফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জয় জলরাম-এর অধ্যক্ষ পুরুষোত্তম শর্মা এবং ফিজ়িক্সের শিক্ষক তুষার ভাটের। গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার (গোধরা এই জেলারই শহর) পুলিশ সুপার হিমাংশু সোলাঙ্কি জানান, এই র‍্যাকেট থেকে ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, নিখুঁত পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের।

ছক কষা শুরু হয় গত বছর দুর্গাপুজোর পরে, যখন নিট-এর আবেদনপত্র পূরণ চলছে। ছাত্রাছাত্রীদের থেকে টাকা তোলার পরে তাঁদের আবেদনের অনলাইন ফর্ম এমন ভাবে পূরণ করা হয়েছিল, যাতে তাঁদের সকলের আসন পড়ে ওই জয় জলরাম পরীক্ষা কেন্দ্রে। সেই কেন্দ্রটিই ‘হ্যাইজ্যাক’ করা হয় গত ৫ মে, নিট-এর দিন।

এর নেপথ্যে নিট আয়োজক সংস্থা ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’ (এনটিএ)-র কোনও কর্মী-আধিকারিকও থাকতে পারেন বলে সন্দেহ। গুজরাট পুলিশ জানাচ্ছে, আরিফ ভোরা নামে আর এক ধৃতের মাধ্যমে পরশুরামরা যোগাযোগ করেন পুরুষোত্তম ও তুষারের সঙ্গে। এই দু’জনকে ৭-১০ লক্ষ টাকা দেয় পরীক্ষা-মাফিয়ারা। বিনিময়ে দুই শিক্ষকই ওই সেন্টারের পরীক্ষার্থীদের ফাঁকা উত্তরপত্রে ঠিক উত্তর লিখে দিতে রাজি হন বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র মারফত পঞ্চমহল পুলিশের কাছে আগাম সে খবর থাকায় পরীক্ষার সময়েই ওই কেন্দ্রে হানা দেন তদন্তকারীরা। তুষারের গাড়ি থেকে নগদ ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই জালিয়াতির জন্য কারা কত টাকা দিয়েছিলেন, আপাতত ধৃতদের জেরা করে পুলিশ সেটাই জানার চেষ্টা করছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানা, ওডিশা-সহ ডজনখানেক রাজ্যের নিট পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ওই স্কুলটিকে।

এসপি সোলাঙ্কি জানান, ধৃতদের ফোন থেকে এই পরীক্ষার্থীদের নিট-এর রোল নম্বরও জানা গিয়েছে। অধিকাংশের থেকেই ১০-২৬ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। তবে চার জনের থেকে ৬৬ লক্ষ টাকা এবং তিন জনের থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক নেওয়া হয়েছিল। এমন কয়েক জন পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ দিকে এনটিএ-র বিরুদ্ধে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) ছিঁড়ে দেওয়ার যে অভিযোগ তুলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের নিট পরীক্ষার্থী আয়ুষি প্যাটেল, এলাহাবাদ হাইকোর্টে তা খারিজ হয়ে গিয়েছে বুধবার। আদালতের বক্তব্য, মামলাকারীর তরফে জাল নথি পেশ করা হয়েছে কোর্টে। তাই মামলা খারিজ করা হলো। অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে চাইলে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে এনটিএ।

You might also like!