দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় দোষীরা পেল শাস্তি ৷ কর্ম সমিতির বৈঠকে শিলমোহর পড়ল অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াডের শিরোধার্য করা শাস্তিতে। 4 জন বর্তমান ছাত্রর বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার সঙ্গে আরও 5 ছাত্রের বাতিল হল 4টি সেমিস্টার। অর্থাৎ দু বছর সম্পূর্ণ নষ্ট হল ওই পাঁচ ছাত্রের। পাশাপাশি আজীবনের জন্য অভিযুক্তদের বহিষ্কারও করা হল হস্টেল থেকে। অন্যদিকে, বাকি 25 জনকেও আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হল হস্টেল থেকে। বাতিল হল একটি করে সেমিস্টারও।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, "আন্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড কমিটির যা যা সিদ্ধান্ত ছিল আমরা সবকিছু গ্রহণ করেছি। আগামিদিনে আমরা নজর রাখব যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে। তার সঙ্গে ইউজিসির গাইডলাইন পালন করা হবে। প্রচার চলবে ব়্যাগিং-এর বিরুদ্ধে।"
গত বছর 10 অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। উঠে এসেছিল ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেই থেকে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায়। অন্যতম অভিযুক্ত সৌরভ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে জেলে। তবে এই ঘটনায় আরও দুজনের নাম শোনা গিয়েছিল। সরাসরি ব়্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও তাঁদের নাম ছিল চর্চায়।
একজন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেটসুর প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরিত্র মজুমদার। অন্যজন ছিলেন বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, ওরফে 'রুদ্র দা'। এদিনের বৈঠকের পর অরিত্রর ফেলোশিপ বাতিল করা হয়েছে। এমনকী, কোনও দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সে আর প্রবেশও করতে পারবে না। অন্যদিকে রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।