দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নিজের জিতে আসা লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করার পর থেকেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ছিলেন জল্পনার কেন্দ্র বিন্দুতে।বেফাঁস মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে পড়লেও নিজেকে এতটুকু বদলাননি রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যা দিলীপ ঘোষের অনন্য স্টাইল হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু আপত্তিকর শব্দচয়নের কারণে বদনাম যতই থাকুক না কেন, তাঁর রাজনৈতিক সত্তা নিয়ে এতদিন প্রশ্ন তোলার সাহস হয়নি কারও। এমনকী বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীরাও এযাবৎ সংগঠক হিসেবে দিলীপের প্রশংসাই করে এসেছেন। উনিশের লোকসভায় বঙ্গ বিজেপিকে যে দিলীপ ঘোষ সাফল্যের স্বাদ দিয়েছিলেন, চব্বিশের লড়াইয়ে তাঁরই অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে।
মঙ্গলবার গণনার প্রথম কয়েক রাউন্ডের মধ্যেই পিছিয়ে পড়তে শুরু করেন দিলীপ ঘোষ। শেষ পর্যন্ত বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে বড় ব্যবধানে হেরে যান তিনি। তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ তাঁকে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৬৪ ভোটে পরাজিত করেন।
লোকসভা নির্বাচনের আগে দিলীপের উপর বড় খাঁড়া নেমে আসে। ২০১৯ সালে যে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে দিলীপ ৮৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন, সেই কেন্দ্র থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দিলীপ ঘোষের তৈরি করে রাখা জমি দলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের হাতে তুলে দেয় গেরুয়া শিবির। যদিও অগ্নিমিত্রাও তৃণমূলের জুন মালিয়ার কাছে হেরে গেছেন।
কেন্দ্র পরিবর্তনের পর তিনি যখন জোরকদমে প্রচার করছিলেন সেই সময় আচমকাই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আন্দামানে প্রচারের কাজে। কিন্তু দিলীপকে বরাবরই দলের উপর আস্থা রাখতে দেখা গিয়েছে ।বিজেপি নেতা বললেন, “অসম্ভব কিছু না। সব সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। বাংলার মানুষ বলবেন এই গুলো ঠিক হয়েছে না ভুল হয়েছে। আমাকে দল যখন যা বলেছে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি। পুরো ইমানদারি দিয়ে করেছি। ফাঁকি রাখিনি। এবার বর্ধমানে হেরে যাওয়া কঠিন সিট ছিল। যারা সেখানে সেদিন ছিলেন তারাও মেনেছেন একটা জায়গায় অন্ততঃ লড়াই হয়েছে।” তবে কোথাও গিয়ে তাঁকে এও বলতে শোনা গেল দলের পলিসির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বললেন, “যাঁরা আমাকে ওখানে পাঠিয়েছেন তারা ভাববেন।”
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,,”কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তার পরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।”