দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলা সহ গোটা দেশে মঙ্গলবার পালিত হবে বিজয়া দশমী। মনে করা হয়, এদিন অশুভ শক্তির বিনাস ঘটিয়ে গোটা বিশ্বকে রক্ষা করেছিলেন। দশেরার দিন উত্তর-প্রদেশ, বিহার-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে রাবণের কুশপুতুল পুড়িয়ে আদ্যাশক্তির বন্দনা করা হয়। রাবণ বধে রামের কৃতিত্বকে বিজয়ের প্রতীক হিসেবে এই আয়োজন করা হয়। বিজয় দশমীর দিন দেবীর রোজকার পুজোর মতোই বিশেষ ও শুভ। মহামায়ার পুজোয় ব্যবহৃত সবকিছুই শুদ্ধ ও পবিত্র। এদিন বাড়িতে যদি অপরাজিতা ও লজ্জাবতী গাছ কিনে আনেন, তাহলে তা অত্যন্ত ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই রীতি অত্যন্ত প্রাচীন একটি প্রথা।দশেরা হিন্দুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ধর্মীয় উৎসব। বিজয়া দশমীর দিন পরিবার ও আত্মীয়পরিজনদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় যেমন অন্যতম ঐতিহ্য, তেমনি দেবীর বিদায়বেলায় যা কিছু শুভ, সেই সব জিনিস ঘরে আনার জন্য মানুষ উত্সুক থাকেন। শাস্ত্র অনুসারে এ দিনে যে যে গাছগুলির পুজো করা শুভ, সেগুলি ঘরে আনলে রাম ও দেবী, উভয়েরই কৃপা বজায় থাকে। গৃহে লক্ষ্মীর অধিবাসও হয়।
শমী গাছ
বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে শমী গাছ লাগানো হলে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। বিজয়া দশমী দিন ঘরে লাগালে এর প্রভাব আরও বেড়ে যায়। শাস্ত্র ও বাস্তু অনুসারে, শমী গাছকে সম্পদের প্রতীকও মনে করা হয়। এমন অবস্থায় বিজয়াদশমীর দিন শমী গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এমনটা করলে শনি দেবী সহ দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বিজয়াদশমীর দিন শমী গাছ বাড়িতে আনার চেষ্টা করুন।
অপরাজিতা গাছ
দুধ ও জল মিশিয়ে অপরাজিতা গাছে অর্পণ করুন। এর পরে, উত্তর-পূর্ব কোণে অপরাজিতাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করুন। দুর্গার অপর নাম অপরাজিতা। এছাড়া অপরাজিতা ফুল দুর্গার অত্যন্ত প্রিয় একটি ফুল। প্রথমে উত্তর-পূর্ব কোণ পরিষ্কার করে গোবর দিয়ে ঢেকে দিন। ওই জায়গাটি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। দেবীকে অর্পণ করে আরতি দিয়ে পূজা শেষ করুন।