দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শ্রাবণ মাসে ভগবান ভোলেনাথের পূজা করলে সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। ভগবান মহাদেবকে খুশি করার জন্য শিবভক্তরা শাস্ত্রে বর্ণিত সমস্ত ব্যবস্থা করে থাকেন। একটি সহজ সমাধান হল বেলপাতা নিবেদন করা।
শিবলিঙ্গে বিল্বপত্র নিবেদনের নিয়ম
নিবেদন করবেন না এমন বেলপাতা
কাটা বেলপাতা নিবেদন করতে নেই। পাশাপাশি তিনটির কম পাতা থাকলে সেই বিল্বপত্রও নিবেদন করবেন না।
কত সংখ্যক বেলপাতা নিবেদন করবেন?
এক ঘট জল ও একটি বেলপাতাতেই মহাদেব খুশি হন। তা-ও শাস্ত্র মতে ব্যক্তি সুযোগ ও সাধ্য মতো ৫, ১১, ২১, ৫১, ১০১টি বেলপাতা নিবেদন করতে পারেন।
শাস্ত্র মতে উলটো বেলপাতা অর্থাৎ বেলপাতার মসৃণ দিকটি শিবলিঙ্গ স্পর্শ করিয়ে নিবেদন করা উচিত। অনামিকা, বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও মধ্যমার সাহায্যে বিল্বপত্রের মাঝের পাতা ধরে শিবকে নিবেদন করা উচিত। বেলপাতায় রাম লিখে শিবকে নিবেদন করলে মহাদেব ও রাম উভয়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। শাস্ত্র মতে বেলপাতা নিবেদন করলে দরিদ্রতা দূর হয়। পাশাপাশি ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। জলাভিষেকের সঙ্গে বেলপাতা নিবেদন করলে তিন জন্মের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শিবের ওপর বেলপাতা নিবেদন করলে আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করা যায়। কিছু কিছু দিন বেলপাতা তুলতে নেই। শাস্ত্র মতে চতুর্থী, অষ্টমী, নবমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, সংক্রান্তি ও সোমবার গাছ থেকে বেলপাতা তোলা উচিত নয়। এক দিন আগে বেলপাতা তুলে রেখে নিতে পারেন। উল্লেখ্য বেলপাতা কখনও বাসী বা অশুদ্ধ হয় না। এমনকি বেলপাতা না-পেলে মন্দিরে শিবলিঙ্গে আগে থেকে অর্পিত বেলপাতা ধুয়ে পুনরায় নিবেদন করা যায়।
পাঁচ পাতা বিশিষ্ট বিল্বপত্র অত্যন্ত শুভ। এমন বেলপাতা পেলে তা শিবলিঙ্গে নিবেদন করে বাড়ি নিয়ে আসুন। সেটি ফ্রেমে বাঁধিয়ে ঠাকুরঘরে রেখে দিন। মনে করা হয় পাঁচ পাতা বিশিষ্ট বিল্বপত্রে সাক্ষাৎ শিব বাস করেন। প্রতিদিন এই বেলপাতা দর্শন করলে সাক্ষাৎ শিবের দর্শন লাভ করা যায়।