দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, সিরিজ হোক বা সিনেমা—প্রতিটি মাধ্যমে নিজের দক্ষতায় নজর কেড়েছেন শোলাঙ্কি রায়। তাঁর পেশাদার সাফল্য যেমন প্রশংসা কুড়োয়, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনও প্রায়শই উঠে আসে আলোচনার কেন্দ্রে। কিছুদিন আগেই তিনি মুখ খুলেছিলেন তাঁর দাম্পত্য বিচ্ছেদের বিষয়ে। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে জানালেন, বিচ্ছেদের পর প্রেম তাঁর জীবনে কীভাবে ফিরে এসেছে, এবং নতুন করে ভালোবাসার মানে কী তাঁর কাছে।
‘স্টেট আপ উইথ শ্রী’তে শোলাঙ্কি প্রেম প্রসঙ্গে বলেন, ‘একটা মানুষকে স্পেস দিতে হবে। তাঁর নিজের মতো করে থাকার জন্য। আমি যাঁর সঙ্গেই থাকি না কেন, তাঁকে সেই স্পেসটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আসলে সারাজীবনের বিষয় তো, কেউ অভিনয় করে যেতে পারবে না। সারাক্ষণ একমাত্র আমি নিজের ভূমিকা ছাড়া অন্য কারুর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারব না। তাই এটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর একটা জিনিস আমি শিখেছি, সেটা হল প্রেমে পড়ে না মানুষ, প্রেমটা হয়ে যায়। তাই সেটা হলেই ভালো।’
প্রসঙ্গত, একটা সময় ভালোবেসে স্কুলের বন্ধু শাক্যর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নায়িকা। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁদের মধ্যে আসে বিচ্ছেদ। সেই বিচ্ছেদের কারণ প্রসঙ্গে এই একই সাক্ষাৎকারে কথা বলেছিলেন শোলাঙ্কি। তিনি বলেছিলেন, 'আমাদের সমস্যাটা হয়েছিল মূলত দূরত্ব নিয়ে। আমরা দু’জন দুটো আলাদা টাইম জোনে থাকতাম। তারপর আমার কাজের যা সময় ছিল, সেটার পর আর আমাদের আর সে ভাবে কথা হত না। আমার যখন কাজ শেষ হত ও তখন ঘুম থেকে উঠত, আর অফিসের জন্য বেরিয়ে যেত। হ্যাঁ, আমাদের বিয়ে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আমরা বৈবাহিক জীবনযাপন করতাম না। তারপর একটা সময় আমরা একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, এই বিষয়টা খুব খারাপ দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে এবার কেউ না কেউ বিদ্রোহ ঘোষণা করবেই। তাছাড়াও আসতে আসতে বুঝতে পেরেছিলাম যে ওঁর পক্ষে সব ছেড়ে এখানে এসে থাকা সম্ভব নয়। আর আমার পক্ষেও সম্ভব হয়নি। আমি চেষ্টা অবশ্যই করেছিলাম, প্রথম ছ'মাস কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে ডিভোর্স আমাদের দেশে এখনও একটা ট্যাবু। আর অনেকেই মনে করেন ডিভোর্স মানেই হয় মেয়েটি ঠকাচ্ছে বা ছেলেটি।'
তাঁর ডিভোর্সের পর থেকেই সোহম মজুমদারের নাম বার বার উঠে আসে। তবে এই প্রসঙ্গে নায়িকা সব সময়ি দাবি করেছেন তাঁরা একে অপরের ভালো বন্ধু।