দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক মোদী সরকারের!চলতি বছরের শেষ মাসে এসে এক বিরাট পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। খুচরো বাজারে চালের বিক্রয় মূল্য কমানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যার জেরে আগামী দিনে চাল ব্যাপক সস্তা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সিদ্ধান্ত যে আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি চালের দাম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের সচিব সঞ্জীব চোপড়া। সেখানে খুচরো বাজারে বাসমতি ছাড়া অন্য সমস্ত চালের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, রাইস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনকে অবিলম্বে দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
পরে এই ইস্যুতে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে বিবৃতিতে জারি করে মোদী সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। চলতি বছরে খারিফ শস্য ভালো হয়েছে। ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কাছে পর্যান্ত চাল মজুত আছে। এই পরিস্থিতিতে ঘরোয়া বাজারে কোনও অবস্থাতেই বাসমতি ছাড়া অন্য কোনও চালের দাম বাড়তে পারে না। সেই কথা মাথায় রেখে দাম কমাতে এই পদক্ষেপ করা হল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, গত দু'বছরে চালের দামে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে মনে করছে কেন্দ্র। সেই কারণে নতুন বছর শুরুর আগেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া সিদ্ধান্ত নিল সরকার। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের জেরে কেজি প্রতি চালের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকায় নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের দাবি, ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমের অধীনে মজুত করা চাল ব্যবসায়ীদের কাছে ২৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু সেই চালই খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪৫ টাকায়। অর্থাৎ কেজি প্রতি ১৬ টাকা বেশিতে খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে চাল।
প্রসঙ্গত, ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চলতে বছরের জুলাইতেই বাসমতি ছাড়া সমস্ত চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। পাশাপাশি বাড়ানো হয় রপ্তানি শুল্ক।ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, খুচরো বাজারে চালের এই চড়া দামের নেপথ্য় রয়েছে মুনাফাখোরদের একাংশ। এবারও দাম না কমলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মোদী সরকার।