দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতীয় রেলের আওতায় থাকা সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম কর্পোরেশনের (আইআরসিটিসি) মাধ্যমে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও রেলকর্তারা ট্রেনে খাবার সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে একটি স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছিলেন।
ভারত সরকারের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ফ্যাসাই) এবং রেলমিত্রকে সঙ্গে নিয়ে এ বার সেই কাজেই নেমেছেন তাঁরা। স্টেশনে পাওয়া খাবারকে হতে হবে ‘ইট রাইট’ পর্যায়ের। অর্থাৎ এই ধরনের খাবার একেবারে ‘যথাযথ’। এবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পাওয়া খাবারও এই শ্রেণিতে পড়বে। এমনটাই শংসাপত্র দিয়েছে ফ্যাসাই। খাবারের গুণগত মান ও পরিষেবার উন্নয়নে জোর দিতেই ভারতীয় রেলের এমন উদ্যোগ।
এর জন্য রেলেরই অনুমোদিত সংস্থা রেলমিত্রকে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে খাবারের মান ও পরিষেবার উন্নত পরিকাঠামো তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রেলমিত্র কোনও স্টেশনের পরিষেবার সন্তুষ্ট হলে ফ্যাসাই কর্তারা কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ফের গুণমান যাচাই করান। তার পরই শংসাপত্র দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট স্টেশন এই শংসাপত্র পেলে ভেন্ডাররা যাত্রীদের চলন্ত ট্রেনে খাবার পরিবেশন করার অনুমতি পাবেন।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনটি যে শংসাপত্র পেয়েছে তার মেয়াদ ২০২৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার পরে ফের ফ্যাসাইকে দিয়ে স্টেশনের খাবারের গুণগত মান যাচাই করাতে হবে। না-হলে রেলমিত্রের ‘ইট রাইট’ তালিকা থেকে নাম বাদ পড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই শংসাপত্র ইতিমধ্যেই পেয়েছে অসমের গুয়াহাটি, নিউ বঙ্গাইগাঁও, রঙ্গিয়া, লামডিং, মারিয়ানি, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এবং সামসি রেল স্টেশন। এ বার নিউ জলপাইগুড়ি এই তালিকায় যুক্ত হলো। ফলে যাত্রীরা নিশ্চিন্তে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের খাবার কিনে খেতে পারবেন।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আটটি স্টেশন এই শংসাপত্র পেলেও গোটা দেশের সাড়ে আট হাজার রেল স্টেশনের মধ্যে এই মুহূর্তে এমন স্টেশনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশো। চলন্ত ট্রেনে বসেই যাত্রীরা রেলমিত্র ফুড অ্যাপের সাহায্যে নিকটবর্তী ‘ইট রাইট’ স্টেশন থেকে খাবার অর্ডার করতে পারবেন। ট্রেন সংশ্লিষ্ট স্টেশনে পৌঁছলেই যাত্রীদের আসনে খাবার পৌঁছে দেবেন রেলকর্মীরা। রেলমিত্র ট্রেন ফুড অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। খাবারের দাম অনলাইনে কিংবা ক্যাশ অন ডেলিভারিতেও দেওয়া যাবে।