জীবন্ত চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে হাসপাতালে বধু ক্যানিং - কামড় দিয়েছিল সাপ। সেই সাপকে জীবন্ত অবস্থায় ধরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে হাজীর হলেন বধু। আর এমন ঘটনায় সাপ দেখতে হাসপাতালে উপচে পড়ে ভীড়। বর্তমানে ওই বধু ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত রাঙাবেলেঘাটা গ্রামের বধু কৃষ্ণা নস্কর।বুধবার সন্ধ্যায় বধু নিজের পেয়ারা বাগানে কাজ করছিলেন। সেই সময় তাঁর ডান হাতে একটি চন্দ্রবোড়া সাপ কামড় দেয়। কোন রকমে সাপটি ধরে ফেলেন। পরিবারের লোকজনদের কে ঘটনার কথা জানায়।চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই বধুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। জীবন্ত সাপ নিয়ে ওই বধু ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে এলে হইচই পড়ে যায়। সাপ দেখার জন্য সাধারণ মানুষ ভীড় জমায়।তড়িঘড়ি ওই বধুর চিকিৎসা শুরু করেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় ও ডাঃ মধুরীমা মন্ডল। ঘটনা প্রসঙ্গে বধুর দেওর বিভাস নস্কর জানিয়েছে ,সাপ কামড় দেওয়ার সাথে সাথে সাপ ধরে নিয়ে হাসপাতালে যাই চিকিৎসার জন্য। তবে ইদানিং বারুইপুর এবং সোনারপুর এলাকায় চন্দ্রবোড়া সাপ প্রচুর হারে বেড়ে গিয়েছে।’ অন্যদিকে নরেন্দ্রপুুর থানার অন্তর্গত রাধানগর এলাকার বাসিন্দা রামপ্রসাদ মন্ডল। তিনি মাঠে গোরু আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পায়ে একটি চন্দ্রবোড়া সাপ কামড় দেয়।তিনি চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজীর হন। বর্তমানে সাপের কামড়ে আক্রান্ত দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, ‘চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে দুজন ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা চলছে।পর্যাপ্ত পরিমান এভিএস দেওয়া হয়েছে।তবে বধুর ক্ষেত্রে একটা বিরল ঘটনা জানা গিয়েছে,কৃষ্ণা দেবীকে গত ১০ বছর আগে চন্দ্রবোড়া সাপ কামড় দিয়েছিল। বর্তমানে চন্দ্রবোড়া সাপের প্রজনন অত্যধিক হারে বেড়ে গিয়েছে। তাছাড়া চন্দ্রবোড়া সাপ সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে।কামড়ের ঘটনা আরো ঘটবে। সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন। তাছাড়া সাপ কামড় দিলে ধরে কিংবা মেরে আনার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে বিপদ বাড়তে পারে।মনে রাখতে হবে সাপে কামড় দেওয়ার সাথে সাথে সময় নষ্ট না করে সরাসরি নিকটবর্তী সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছানো জরুরী। সেক্ষেত্রে বিপদের ঝুঁকি থাকে না।