কলকাতা, ২০ মে : ডিএ মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। উচ্চ আদালতে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তহবিলে টাকা নেই বলে উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু রাজ্যের এই যুক্তি গ্রাহ্য করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মহার্ঘ ভাতা মৌলিক অধিকার, আইনত অধিকার।
হাইকোর্ট নির্দেশে জানিয়েছে, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট যে রায় দিয়েছে তা আগামী ৩ মাসের মধ্যে কার্যকর করতেই হবে। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এদিন বলেন, রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ডিএ প্রাপ্য। অল ইন্ডিয়া প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী তাঁরা ডিএ পেতে বাধ্য। সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের রাজ্য সরকার ডিএ দিতে বাধ্য।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বকেয়া ৩২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে ২০১৬ সালে মামলা হয়। মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষপর্যন্ত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলে। এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলাতেই শুক্রবার রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এনিয়ে রায়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। মামলাকারীদের তরফে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা শুধু কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজের জয় নয়, এই জয় সমগ্র কর্মচারী সমাজের।" সংগঠনের তরফে প্রেসিডেন্ট শ্যামল মিত্র বলেন, ফান্ড নেই এই যুক্তিতে আর ডিএ আটকে রাখা যাবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, দয়া করে এটাকে প্রেস্টিজ ফাইট করবেন না। রাজ্য সরকারি কর্মীরা আপনার শত্রু নন।